নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আর দশজন সাধারণ বাঙালি যুবকদের মতো একজন। তবে আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেক সাধারণের মাঝে অসাধারণ কিছু একটা লুকিয়ে আছে। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজের ভেতরের সেই অসাধারন সত্ত্বাটিকে খুঁজে বের করে আনার।
“স্যার, আপনার কাছে একটা চিঠি এসেছে” দপ্তরি একটা মুখবন্ধ খাম বাড়িয়ে ধরল প্রোফেসর আলমগির কবিরের দিকে। দু সেকেন্ড ভ্রু কুঁচকে খামটার দিকে তাকিয়ে থাকলেন প্রোফেসর। তারপর হাত বাড়িয়ে খামটা নিলেন।
কলেজের ঠিকানায় তার কাছে চিঠি পাঠাল কে? খামের উপর প্রেরকের বিস্তারিত দেখে চোখ কপালে উঠল তার। চিঠি এসেছে ইংল্যান্ডের এক বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি থেকে। তার মত বাংলাদেশের একজন নগণ্য কলেজ শিক্ষকের কাছে ইংল্যান্ড থেকে চিঠি আসবে কেন?
খামটা খুললেন আলমগির কবির। চিঠির সারমর্ম যা বুঝলেনঃ ইংল্যান্ডের ওই বিখ্যাত ইউনিভার্সিটিতে একটা গনিত বিষয়ক ২ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিশ্বের বিখ্যাত সব গনিতবিদরা আসছেন। প্রোফেসর আলমগির কবিরকেও তারা আমন্ত্রন জানিয়েছেন। কারন গনিত বিষয়ে তার গবেষণা তাদের কাছে ভাল লেগেছে। যাতায়াত ও থাকা খাওয়ার সমস্ত খরচ ইউনিভার্সিটি কতৃপক্ষ বহন করবে।
অবিশ্বাসের চোখে চিঠিটার দিকে তাকিয়ে থাকলেন প্রোফেসর। তাকে তার এলাকার মানুষই ঠিক মত চেনেনা। দেশের বাইরে চিনল কিভাবে?
আলমগির কবির গনিত ভালবাসেন কিন্তু শিক্ষকতা তার কাছে মোটেও পছন্দের কোন পেশা নয়। অবশ্য সারাজীবন গনিত নিয়ে মেতে থাকতে চাইলে শিক্ষক হওয়া ছাড়া কোনও গতি নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গনিত বিষয়ে অনার্স মাস্টার্স শেষে বিসিএস দিয়েছিলেন। বর্তমানে একটা সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করছেন। ছাত্র মহলে তিনি খুব একটা পছন্দনীয় নন। ক্লাসে ছাত্রদের বইয়ের অংক যতটা করান তার চেয়ে বেশি মেতে থাকেন গনিত বিষয়ে যুক্তি তর্ক বোঝাতে। আর সারাক্ষন বাদাম খাওয়ার একটা বদভ্যাস তো আছেই!
এক প্রকাশনীর মালিকের সাথে খাতির ছিল আলমগির কবিরের। তার হাতে পায়ে ধরে গত বছর তিনি গনিত বিষয়ে ব্যাক্তিগত কিছু গবেষণা নিয়ে ইংরেজি ভাষায় একটা বই প্রকাশ করেছেন An easy approach to mathematical problems নামে। সেই বই তো একটা মাছিও পড়েনি। প্রকাশনীর মালিক বেশ ভাল লস খেয়েছেন বইটা প্রকাশ করে। এখন দেখা হলেই মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু এই বই সেই লন্ডনের ইউনিভার্সিটিতে পৌছাল কিভাবে?
***
এমন বিলাশবহুল একটা ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস সামনা সামনি দেখার সৌভাগ্য হবে এটা আলমগির কবির ভাবেন নি কখনো। বিশাল হলরুম, সুইমিংপুল আর কত আধুনিক ব্যাবস্থা! সেমিনারে অসংখ্য বিখ্যাত মানুষের ভিড়ে নিজেকে কেমন যেন বেমানান মনে হচ্ছে আলমগির কবিরের। তিনি কোনার একটা সিট দেখে বসে পড়লেন। চুপচাপ আশে পাশের মানুষজনকে দেখতে লাগলেন। পকেটে বাদাম আছে, বের করে খেতে মন চাচ্ছে কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে তাও করতে পারছেন না।
এখানকার মানুষ সময় সম্পর্কে খুব সচেতন। সিডিউল অনুযায়ী সেমিনার শুরু হল ঠিক ১০টায়। একে একে বিখ্যাত সব গনিতবিদরা ডায়াসে উঠলেন। তারা নিজেদের গবেষণা উপস্থাপন করলেন। প্রোজেক্টরের সাহায্যে বিভিন্ন নতুন নতুন সমস্যা ও সমাধান তুলে ধরা হল। কিভাবে গনিত বিষয়ে আরও অগ্রগতি সম্ভব সেটা নিয়ে সারগর্ভ আলোচনা চলল। তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে গনিত বিষয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করা হল।
এক পর্যায়ে ডায়াসে উঠলেন অক্সফোর্ড এর বিখ্যাত গনিতবিদ এবং এই গনিত বিষয়ক কর্মশালার প্রধান অতিথিদের একজন ড. উইলিয়াম স্পেনসার। ভদ্রলোক সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শুরু করলেন। গনিত বিষয়ক নানান আবিষ্কার নিয়ে কথা বললেন। তারপর এলেন নিজের গবেষণা প্রসঙ্গে....
“আপনারা জানেন গনিত বিষয়ে এমন অনেক সমস্যা আছে যার কোনও সমাধান আজ পর্যন্ত করা যায়নি। লজিকাল কোনও ব্যাখ্যা না পাওয়ায় আমরা সেই সব সমস্যাকে “আনডিফাইনড” আখ্যা দিয়ে রেখেছি। আমার গবেষণার বিষয় হল সেই সব সমস্যার লজিকাল সমাধানে পৌঁছানো। ছোট একটা উদাহারন দিলেই বুঝবেন। কোনও ইকুয়েশন যদি 2x=2x+1 এ পৌছায়, দুই সাইডে কোনও ব্যালেন্স না থাকে এবং এক্স কে অন্য কোনও নাম্বার দিয়ে রিপ্লেস করা সম্ভব না হয় তাহলে আমরা ধরে নেই সেই ইকুয়েশনের কোন সমাধান নেই। এমতাবস্থায় আমরা “অসঙ্গায়িত” নামক একটা শব্দ উচ্চারন করে নিজেদের দায়িত্ব শেষ করে দেই। কিন্তু একজন সত্যিকারের ম্যাথামেটিশিয়ানের দায়িত্ব কখনো এখানে শেষ হতে পারেনা। প্রতিটি সমস্যার সমাধানের জন্য নিজের ব্রেইন খাটাতে হবে। গনিতে অসঙ্গায়িত বলে কোনও শব্দ থাকা উচিত নয়। আরও একটা উদাহারন আপনাদের সামনে তুলে ধরছি, শুন্য কে কোনও সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে মান অসঙ্গায়িত বলা হয়। কিন্তু কেন? শুন্য আনকাউন্টেবল ফিগার বলে? গনিতের ভাষায় শুন্য হল নেগেটিভ ফিগার থেকে বড় সংখ্যা। নেগেটিভ ফিগার যদি কাউন্ট করা যায় তবে শূন্যকে কাউন্ট করা যাবেনা কেন? নেগেটিভ ফিগার যদি ভাগ করা যায় তবে শুন্যকে যাবে না কেন? ফাইনান্সের সাথে একটা মিল খুজলে আপনারা দেখবেন শুন্য হচ্ছে মুলত একটা ব্রেক ইভেন পয়েন্ট। কোনও বস্তু না থাকা মানে এই নয় যে সেটা ডিফাইন করা যাবেনা! এটা কি কোনও লজিকাল ব্যাখ্যা হল? একবারও কি মনে প্রশ্ন জাগেনা যে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব? এবার আপনাদের কিছু ম্যাথ প্রবলেম এর মুখোমুখি করছি যার কোনও সমাধান এখনও সম্ভব হয়নি...”
এই পর্যন্ত প্রোফেসর স্পেনসার এক গ্লাস পানি খেলেন। তারপর প্রোজেক্টরের সাহায্যে একটা পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড দেখানো শুরু করলেন। প্রত্যেকটা স্লাইডে বেশ কিছু ইকুয়েশন রিলেটেড প্রবলেম দেওয়া আছে যার কোনও সমাধান সম্ভব নয়। অন্য সবার মত প্রোফেসর আলমগির কবির সমস্যাগুলো দেখতে থাকলেন। নতুন কিছু নয়, এই সংক্রান্ত বিষয়ের সাথে সবাই মোটামোটি পরিচিত।
Problem 1: 4x-2+3x = 3x+12+4x-14
Solution:
Step 1: 4x+2x-2 = 3x+4x+12-14
Step2: 7x - 2 = 7x - 2
Step 3: 7x - 7x = -2 + 2
Step 4: 0 = 0
So there is no solution of this equation.
Problem 2: 7x-4y+12z+4 = 5-3y+7x-y+12z
Solution:
Step 1: 7x-4y-7x+3y+y+4 = -12z+12z+5
Step2: 0+4 = 0+5
Step 3: 4 = 5
So there is no solution of this equation.
Problem 3: 8(2x - 3) = 4(4x - 8)
Solution:
16x - 24 = 16x – 32
16x - 16x - 24 = 16x - 16x – 32
-24 = -32
The 16x cancels so that there is no x left. How can this be solved?
Problem 4:
solution:
-3(x - 3) >= 5-3x
-3x + 9 >= 5-3x
-3x + 3x + 9 >= 5-3x+3x
9 >= 5
But it’s impossible!
প্রোফেসর স্পেনসার বলছেন, “শুধু এখানেই শেষ নয়। বিখ্যাত কিছু ম্যাথ সমস্যা আছে যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে বাঘা বাঘা গনিতবিদ নাকাল হয়েছেন কিন্তু সমাধান খুজে পাননি। যেমনঃ The Goldbach conjecture, The Riemann hypothesis,The twin prime conjecture, Determination of whether NP-problems are actually P-problems, The Collatz problem, Proof that 10 is a solitary number, Solving the happy end problem for arbitrary , Finding an Euler brick whose space diagonal is also an integer, Proving which numbers can be represented as a sum of three or four cubic numbers, Lehmer's Mahler measure problem and Lehmer's totient problem, Determining if the Euler-Mascheroni constant is irrational, Deriving an analytic form for the square site percolation threshold ইত্যাদি। এছাড়া আরও প্রচুর সমস্যা আছে যার কোনও সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি অথবা সমাধান করা হলেও সেটা লজিকাল সমাধান না। আমার গবেষণা ছিল এই সমস্ত জটিলটার একটা সহজ সমাধানে পৌঁছানো। দীর্ঘ ৫ বছর গবেশনায় আমি যে ফলাফলগুলো তুলে আনতে পেরেছি তার কোনটাই আমার মনঃপুত হয়নি। এরপর আমি এসব বিষয় নিয়ে অনেক আগের গনিতবিদ ও বিজ্ঞানীদের গবেষণা উপর পড়াশোনা আরম্ভ করি। তখনই একটা তথ্য পেলাম। প্রায় হাজার বছর আগে ইতিহাসের একজন অখ্যাত গনিতবিদ বলেছিলেন ম্যাথের সকল “অসঙ্গায়িত” সমস্যা গুলো সহজেই সমাধান করা যেত যদি এক থেকে বিশের ভেতর কোথাও একটা বাড়তি মৌলিক পূর্ণাঙ্গ সংখ্যা কল্পনা করে নেওয়া হয়। আমি বিষয়টা নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনার পর ধারনাটি গ্রহন করেছি। গোপন সংখ্যাটির নাম আমি দিয়েছি ব্রিজ। ১ থেকে ২০ সংখ্যাগুলির মাঝে কোথাও একটা বাড়তি মৌলিক পূর্ণ সংখ্যা আছে, এখন প্রশ্ন হল এর অবস্থান কোথায়?”
উপস্থিত দর্শকদের মাঝে হাসির রোল উঠল।
প্রোফেসর স্পেনসার হাত উচিয়ে সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করলেন। “আমি জানি আমাকে আপনারা পাগল ঠাউরেছেন, ভাবছেন অতিরিক্ত গবেষণা করতে গিয়ে মস্তিষ্কে কোনও সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমি বলছি আমি সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ। আমি যা বলছি ভেবে চিন্তেই বলছি। আমি কথা দিচ্ছি আমার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর আপনারা আমাকে আর পাগল ভাবতে পারবেন না। আমি বলতে চাইছি আমি মেনে নিয়েছি ১ থেকে ২০ পর্যন্ত আসলে মোট ২১টি সংখ্যা আছে। এখন খুজে বের করতে হবে যে সেই গোপন সংখ্যাটি আসলে কোথায়? আমি আমার গবেষণার শুরুর দিকে ধারনা করেছিলাম সঙ্খাতির অবস্থান আসলে ১৯ থেকে ২০ অথবা ১ থেকে ২ এর মাঝে অথবা ১ এর আগে। কিন্তু একটা সময় বুঝতে পারলাম আমি আসলে ভুল পথে আছি। অনেক আগেই বোঝা উচিত ছিল সেই গোপন সংখ্যাটির অবস্থান হল ৩ ও ৪ এর মাঝামাঝি। আরও সহজ করে বলতে গেলে পাইয়ের মানই হল সেই গোপন সংখ্যা”।
দর্শকের মাঝে আবার একটা গুন গুন ছড়িয়ে পরল।
ডক্টর স্পেনসার হাত তুলে সবার উদ্দেশ্যে বললেন, “আপনারা শান্ত হন। আমার কথা এখনও শেষ হয়নি। আমি আজ নিজের গবেষণার কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য এসেছি”।
দর্শকরা সবাই একটু নড়ে চড়ে বসল। প্রোফেসর বলছেন, “আপনারা জানেন পাই হচ্ছে এমন একটা সংখ্যা কোনও ইন্ডপয়েন্ট নেই। তাই পাই এর মানকে বলা হয় ইনফাইনিট এমাউন্ট অফ নাম্বারস। সম্প্রতি একটি সুপার কম্পিউটার দ্বারা পাইয়ের মান নির্ণয় করতে গিয়ে ৩ দশমিকের পর ১.৪ ট্রিলিয়ন ঘর পর্যন্ত অংক পাওয়া গেছে। কিন্তু খুজে পাওয়া যায়নি শেষ, খুজে পাওয়া যায়নি কোনও প্যাটার্ন যার সাহায্যে সংখ্যাটিকে পৌনপুনিক হিসেবে প্রকাশ করা যায়। তাই পাই এর মান ধরা হয় ৩.১৪১৬। কিন্তু এটা কখনো সঠিক হতে পারেনা। কারন পাই এর মান ৩.১৪১৬ হলে, পাই= ২২/৭ সমীকরণটি সম্পূর্ণ শুদ্ধ হয়না। আপনারা যারা বাটারফ্লাই ইফেক্ট সম্পর্কে জানেন তারা বোঝেন কোনও বিষয়ে সামান্য একটা নিয়মের হেরফের অন্য কোথাও কত বড় পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে! তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এই ব্রিজের সন্ধান কোনও প্রচলিত পদ্ধতিতে অংক কষে পাওয়া সম্ভব নয়। ভাবতে হবে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে। আপনারা জেনে খুশি হবেন আমি সমাধানের খুব কাছাকাছি পৌছে গেছি। খুব তাড়াতাড়ি হয়ত আপনাদের সামনে একটা যুগান্তকারী তথ্য নিয়ে হাজির হতে পারব। ধৈর্য ধরে আমার বক্তব্য শোনার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ”।
দর্শকরা এতক্ষন চুপচাপ শুনছিল, বক্তৃতা শেষ হতেই প্রচণ্ড হাততালির শব্দ ছড়িয়ে পড়ল। স্থায়ী হল অনেকক্ষণ। ডক্টর উইলিয়াম স্পেনসার একজন শক্তিমান মানুষ। নিজের ভাবনাগুলো খুব সহজেই অন্যদের মাঝে পৌছে দিতে পেরেছেন তিনি। হলভর্তি সবগুলো মানুষ বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ল, প্রোফেসর আলমগির কবিরও তার ব্যাতিক্রম নন।
***
সেমিনারের বাকিটা সময় ধরে প্রোফেসর কবির সুযোগ খুজলেন ডক্টর উইলিয়াম স্পেনসারের সাথে কথা বলার। ব্যস্ত মানুষ, সারাক্ষণই কিছু না কিছু করছেন, না হয় কারো সাথে কথা বলছেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত সুযোগটা পেলেন প্রোফেসর কবির। বিকেলে সুইমিং পুলের পাশে বসে ড্রিংকস করছিলেন ড. স্পেনসার। কাছে কেউ ছিল না।
প্রোফেসর কবির সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। “স্যার, আমি প্রোফেসর আলমগির কবির। এসেছি বাংলাদেশ থেকে। আপনার সাথে কি কিছু কথা বলতে পারি?”
ভদ্রলোক অমায়িক ভঙ্গিতে হাসলেন। “বলুন”।
“স্যার... বসে বলি?”
“অবশ্যই”! ড. স্পেনসার পাশের চেয়ারের দিকে ইঙ্গিত করলেন।
প্রোফেসর আলমগির কবির বসলেন। “আপনার গবেষণা নিয়ে দুটো প্রশ্ন আছে আমার”।
“কি প্রশ্ন?”
“প্রথম প্রশ্নটা হল এই গোপন সংখ্যার নাম আপনি ব্রিজ দিয়েছেন কেন? দ্বিতীয় প্রশ্ন হল এই ব্রিজ খুজে পেলে আমাদের কি লাভ হবে? এই দ্বিতীয় প্রশ্নটা করছি কারন আপনি শুধুমাত্র জটিল অংকগুলোর সহজ সমাধানের জন্য নিজের জীবনের এত মূল্যবান সময় ব্যয় করে ব্রিজ খুজে চলেছেন ব্যাখ্যাটা আমার কাছে যুতসই মনে হয়নি”।
ডক্টর স্পেনসার আবার একটু হাসলেন। হাতের গ্লাসটা দেখিয়ে বললেন, “আপনি ড্রিংকস করেন?”
“না স্যার, আমি ওসব খাইনা”।
হাতের গ্লাসের দিকে তাকিয়ে বললেন, “আপনার দুটো প্রশ্নের উত্তর আসলে একটাই। এটা অনেকটা ওপেন সিক্রেট এর মত। কাউকে বলা নিষেধ কিন্তু জানে সবাই”।
“স্যার দয়া করে হেয়ালি করবেন না। আমি হেয়ালি বুঝিনা। আমি বোকা শোকা মানুষ! সহজ কথাটা সহজভাবেই বুঝি। আমি এসেছি থার্ড ওয়ার্ল্ডের একটা দেশ থেকে। সেখানে গবেষণা করার মত যথেষ্ট ফ্যাসিলিটি নেই, গবেষণা বিষয়টাকে উৎসাহিতও করা হয়না। আমাদের দিন কেটে যায় পরবর্তীদিনের অন্ন কিভাবে যোগার করব সেই চিন্তা করে। তবুও আপনাদের মত মানুষের সান্নিধ্যে থেকে কিছুটা জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পেয়েছি, এটা আমার পরম সৌভাগ্য”।
কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলে থামলেন প্রোফেসর কবির। ডক্টর স্পেনসার কৌতুকপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন। প্রোফেসর থামতেই বললেন, “আপনি প্যারালাল ইউনিভার্স বা অল্টারনেটিভ রিয়েলিটি সম্পর্কে কিছু জানেন?”
“স্যার... দু একটা সায়েন্স ফিকশন বই পড়ে যতটা জানা সম্ভব”!
“সায়েন্স ফিকশন বইয়ে যেভাবে উপস্থাপন করা হয় বিষয়টা আসলে তেমন নয়। প্যারালাল ইউনিভার্সের কনসেপ্ট বলে, একই সাথে অনেকগুলো ত্রিমাত্রিক জগত পাশাপাশি অবস্থান করছে। কিন্তু এক ইউনিভার্স থেকে অন্য ইউনিভার্স এর অস্তিত্ব বোঝা যায়না। অপর ইউনিভার্সে কি ঘটছে তা জানার কোনও উপায় নেই। সায়েন্স ফিকশন বলে, প্রত্যেকটা প্যারালাল ত্রিমাত্রিক জগতে একই প্রানি বিদ্যমান। কথাটা হয়ত ঠিক। কিন্তু সব ক্ষেত্রে প্রাণীটির অবস্থান এক নয়। বুঝতে পারছেন?”
“কিছুটা.... শেষের দিকে বুঝিনি”।
“একটা উদাহারন দিলেই বুঝবেন। আমাদের ইউনিভার্সে হিটলার যুদ্ধে হেরে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে, কিন্তু হয়ত অন্য ইউনিভার্সে হিটলার জয়ি হয়েছে! হতে পারে সেখানে পৃথিবী শাসন করছে হিটলার আর মুছলিনির অনুসারীরা! আরও ব্রড কনসেপ্ট বলে এমন অনেক ইউনিভার্স আছে যেখানে মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে আমাদের ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের চরম শিখরে অবস্থান করছে। আবার এমনও হতে পারে যে তারা আসলে সেই আদিমযুগেই পড়ে আছে, গাছের বাকল গায়ে দিয়ে, গুহায় বসবাস করছে আর হিংস্র পশুদের সাথে অনবরত লড়াই করে চলেছে বেঁচে থাকার জন্য”।
“এবার বুঝেছি স্যার”।
“আমার বিশ্বাস এই ব্রিজ হচ্ছে এইসব প্যারালাল ইউনিভার্সগুলোর মাঝে একটা যোগসূত্র! ব্রিজটা খুজে পেলেই আমরা অন্য ইউনিভার্সের সাথে যোগাযোগ করতে পারব, হয়ত যাতায়াত করাও সম্ভব হবে! তাই আমি এর নাম দিয়েছি ব্রিজ....”
প্রফেসর কবির হাসলেন, “বুঝতে পেরেছি স্যার। আমার একটা জিনিস চিন্তা করে খুব হাসি পাচ্ছে! আপনাদের চিন্তা ভাবনা সেই কোথায় চলে গেছে আর আমরা এখনও ২ আর ২ মিলে চার হয় সেই ধারনাতেই পড়ে আছি”!
ডক্টর উইলিয়াম স্পেনসার বললেন, “আপনাকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে মিস্টার....”
“কবির, আলমগির কবির”।
ডক্টর স্পেনসার অবশ্য ঠিকভাবে উচ্চারন করতে পারলেন না নামটা। “মিস্টার ক্যাবির” টাইপের একটা উচ্চারন করে বললেন, “আপনি কি জানতে চান আমি এখন সমাধানের কোন পর্যায়ে আছি?”
“জী যদি আপনার বলতে কোনও আপত্তি না থাকে”!
“আমার কি মনে হয় জানেন? আমি যে ধারায় চিন্তা করছি তাতে অনেক আগেই সমাধানে পৌছে যাওয়ার কথা! কিন্তু পৌছাতে পারছি না কারন মনে হচ্ছে কিছু একটা আমাকে বাধা দিচ্ছে। অনুভূতিটা ঠিক বোঝানো সম্ভব নয়। মনে হয়... মনে হয়.... কোনও একটা অদৃশ্য শক্তি চায়না আমি সমাধানটা খুজে পাই! যতবার কাছাকাছি পৌঁছাই ততবারই কিছু একটা যেন মাথার মধ্যে কাজ করা শুরু করে! সব কিছু গুলিয়ে যায়! মাথায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়, কিছু ভাবতে পারিনা। তারপর সবকিছু আবার গোঁড়া থেকে শুরু করতে হয়। তবে এবার একটা উপায় খুজে পেয়েছি.....”
“স্যার, সবাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে” প্রোফেসর তাকিয়ে দেখলেন একজন কোট টাই পড়া বডিগার্ড মার্কা লোক এসে দাঁড়িয়েছে।
ডক্টর স্পেনসার ঘড়ি দেখলেন। “ওহ! আমার তো একটা রাউন্ড টেবিল বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা ছিল। উঠে দাঁড়ালেন তিনি। প্রোফেসর কবিরের দিকে তাকিয়ে বললেন, মনে রাখবেন প্রোফেসর ক্যাবির, আমি যদি আমার জীবদ্দশায় ব্রিজটাকে খুঁজে নাও পাই, তাতে কোনও সমস্যা নেই। কেউ না কেউ একদিন সেটা খুঁজে পাবেই। মানুষের জন্য অসম্ভব বলে কিছু নেই, কোনও অদৃশ্য শক্তি তাকে আজীবন আটকে রাখতে পারবে না!”
পরের দিন সেমিনারে প্রোফেসর আলমগির কবির অনেক খুজেও আর ডক্টর উইলিয়াম স্পেনসারের দেখা পেলেন না। আরও অনেক কিছু জানার ছিল তার কিন্তু সে সুযোগ আর হলনা।
***
পাঁচ বছর পর।
সকালের পত্রিকা হাতে ধূমায়িত কফির মগে চুমুক দিচ্ছিলেন ডক্টর ইকবাল আহমেদ। তার ছোট মেয়ে এসে দাঁড়াল। “বাবা তোমার ফোন এসেছে। অনেকক্ষণ ধরে বাজছে”।
মোবাইলটা হাতে নিলেন ডক্টর ইকবাল। হাসপাতাল থেকে ফোন এসেছে, শহিদের ফোন। ডক্টর শহিদ একসময় তার ছাত্র ছিল। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠিত মানসিক হাসপাতালের ইন-চার্জের দায়িত্বে আছে। ডক্টর ইকবাল রিসিভ করলেন, “কি ব্যাপার শহিদ?”
স্যার, “একবার যদি আসতে পারেন খুব ভাল হয়। ৩১১ নাম্বার কেবিনের সাবজেক্ট খুব ঝামেলা করছে”।
“তোমাকে না কতবার বলেছি সাবজেক্ট বলবে না! মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে কিন্তু সে তো মানুষ! তার একটা নাম তো আছে!”
“সরি স্যার! আসলে বলতে বলতে অভ্যাস হয়ে গেছে তো”!
“এসব আমার হাসপাতালে চলবে না”!
“সরি স্যার। ৩১১ নং কেবিনের রোগী প্রোফেসর আলমগির কবির অস্থির আচরন শুরু করেছেন, হাতের কাছে যা পাচ্ছেন সব কিছু ভেঙে ফেলছেন”।
“ওনাকে একটা ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখ। আমি আসছি....”
***
৩১১ নং কেবিনে ঢুকে ডক্টর ইকবাল দেখলেন প্রোফেসর আলমগির কবির তার বেডে ঘুমিয়ে আছেন। তিনি বিছানার পাশে একটা চেয়ার টেনে বসলেন। হাতে প্রোফেসর আলমগির কবিরের কেস ফাইল।
ডক্টর ইকবাল দেশের বিখ্যাত সাইক্রিয়াটিস্টদের মধ্যে অন্যতম। সারা জীবন তিনি মানুষের মানসিক সমস্যা সমাধানের উপর প্রচুর কাজ করেছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশের সবচেয়ে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন মানসিক রোগের হাসপাতাল।
প্রোফেসর আলমগির কবিরের ফাইলটা খুললেন তিনি। আগেও পড়েছেন একবার, নতুন করে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন। প্রোফেসর আলমগির কবির ছিলেন একটা সরকারি কলেজের গনিত বিষয়ের অধ্যাপক। গনিত নিয়ে বেশ কিছু ব্যাক্তিগত গবেষণা করেছেন তিনি। An easy approach to mathematical problems বইটার মাধ্যমে প্রথম আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিত হন। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। গনিত বিষয়ে নানা অবদানের মাধ্যমে দেশের জন্য বয়ে এনেছেন সম্মান। খুব অল্পদিনেই দেশের গুরুত্ব পূর্ণ একজন নাগরিকে পরিনত হন। দেশ ও দেশের বাইরে বড় বড় স্কুল কলেজগুলোতে গনিত বিষয়ে তার লেখা বইগুলো ফলো করা হয়। কিন্তু এই গনিতবিদ একটা গবেষণা করতে গিয়ে মানসিক সমস্যার শিকার হয়েছেন। অক্সফোর্ড এর গনিতবিদ উইলিয়াম স্পেনসার সর্বপ্রথম সেই গবেষণা শুরু করেছিলেন। গবেষণার বিষয় ছিল ১ থেকে ২০ এর মাঝে বাড়তি একটা পূর্ণ সংখ্যার সন্ধান। সংখ্যাটির নাম দেয়া হয়েছিল ব্রিজ। কিন্তু ড. স্পেনসার গবেষণা শেষ করে যেতে পারেন নি। বছর খানেক আগে হঠাৎ করে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। তার কোনও খোঁজ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ড. স্পেনসার নিখোঁজ হওয়ার পর একই বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন প্রোফেসর কবির। কিছুদিন যাচ্ছিল ভালভাবেই। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেললেন। আশে পাশে যা পেতেন সব কিছু ভেঙে ফেলতেন আর চিৎকার করতেন। সরকারি খরচে তার ভাল চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে....
প্রোফেসর আলমগির কবির জেগে উঠেছেন। ডক্টর ইকবাল বললেন, “কেমন আছেন প্রোফেসর সাহেব?”
প্রোফেসর কবির উঠে বসলেন, “ভাল আছি, আপনি?”
“আমি তো ভালই থাকি সব সময়। আপনার অবস্থা বলুন। শুনলাম সকালে নাকি হঠাৎ করে রেগে উঠেছিলেন”!
প্রোফেসর হাসলেন, “কি করব বলুন? আপনাকে তো আগেই বলেছি কেউ একজন আছে যে চায়না আমি আমার গবেষণাটা সফল ভাবে শেষ করি। কেউ একজন আড়ালে বসে আমার মাথার ভেতর কলকাঠি নাড়ছে! সমাধানের কাছাকাছি পৌঁছালেই সব গুবলেট করে দেয়!”
ডক্টর ইকবাল বললেন, “আর কতদিন এই মরিচিকার পেছনে ছুটবেন প্রোফেসর? এবার থামুন! সত্যটাকে গ্রহন করে নিন! ব্রিজ বলে আসলে কিছু নেই”!
“ডক্টর ইকবাল আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে ব্রিজ খুঁজতে গিয়ে অক্সফোর্ড এর বিখ্যাত গনিতবিদ ডক্টর উইলিয়াম স্পেনসার নিখোঁজ হয়ে গেছেন”।
“হ্যা জানি...”
“আপনার কি ধারনা? কি হয়েছে তার?”
“হয়ত তার কোনও শত্রু ছিল। তাকে মেরে লাশটা গুম করে ফেলেছে!”
“বাকি বিশ্বের সবাই সেই ধারনাই করেছে। কিন্তু আমি জানি সেটা সত্যি নয়”।
“তবে সত্যি কি? আপনিই বলুন”।
“ডক্টর স্পেনসার ব্রিজের সন্ধান পেয়েছিলেন। তিনি ব্রিজ ব্যবহার করে কোনও একটা প্যারালাল ইউনিভার্সে চলে গেছেন”।
ডক্টর ইকবাল অসহায় কণ্ঠে বললেন, “আপনার মত একজন যুক্তিবাদী মানুষ কিভাবে এই ধারনায় বিশ্বাস করলেন সেটা আমার মাথায় আসছে না! যদি ব্রিজ ব্যাবহার করে প্যারালাল ইউনিভার্সে যাওয়া যায় তবে ফিরেও তো আসা যাবে! তাহলে ডক্টর স্পেনসার কেন ফিরে আসছেন না?”
“হতে পারে তিনি আর ফিরতে চাইছেন না, হতে পারে তিনি ফেরার পথ পাচ্ছেন না, হতে পারে কোনও বিপদে পড়েছেন! অনেক কিছুই হতে পারে!”
“ডক্টর উইলিয়াম নিজেই তো বলেছেন গনিতের ভাষায় “হতে পারে” বলে কোনও কিছুর স্থান নেই! সেই আপনি এই ধারনা কেন মেনে নিচ্ছেন?”
“আমি বলছি সম্ভাবনার কথা! ডক্টর স্পেনসারের কি হয়েছে আমার তা জানা নেই। তবে তিনি যে ব্রিজের সন্ধান পেয়েছিলেন এটা সন্দেহাতীত!”
“কি খামাখা ব্রিজ ব্রিজ করেছেন! লজিকালি চিন্তা করুন! ব্রিজ বলে কোনও কিছু থাকতে পারে না!”
“আমার লজিক তো বলে থাকতে পারে! দেখি আপনার লজিক দেখান আমাকে”।
“লজিক দেখতে চান? ঠিক আছে আপনাকে একটা সিম্পল লজিক দেখাচ্ছি! আপনার কাছে নিশ্চয়ই বাদাম আছে! আপনি তো বাদাম ছাড়া চলতে পারেন না! বের করেন দেখি”।
প্রোফেসর বালিশের নিচ থেকে একটা বাদামের ঠোঙা বের করলেন।
“এবার ঠোঙা থেকে কিছু বাদাম নিন”।
প্রফেসর তাই করলেন।
“আপনি বলছেন ব্রিজ একটি পূর্ণ সংখ্যা, রাইট?”
“হ্যা”
“প্রত্যেক পূর্ণ সংখ্যাই গননা করা যায়!”
“হ্যা”
“এবার আপনি আমাকে ব্রিজ গুনে দেখান”।
“দেখাচ্ছি” বলে বাদাম গুনতে থাকলেন প্রোফেসর। “১, ২, ৩” বলে তিনটি বাদাম আলাদা করলেন। এবার আরও একটি বাদাম হাতে নিলেন। বাদামটা আগের গুলোর পাশে রাখতে গিয়েও হাত ফিরিয়ে আনলেন।
ডক্টর ইকবাল যেন যুদ্ধজয় করেছেন এমন ভঙ্গিতে হাসলেন, “কি হল? রাখছেন না কেন? রাখুন। ঐটা রাখলে ৪ হবে। তিন এর পর চার এটাই লজিক! মাঝখানে কিছু নেই”।
“আপনি বুঝতে পারছেন না! কেউ একজন আমাকে বাধা দিচ্ছে...আমাকে.... আমাকে আটকে রাখছে। ব্রিজটা বের করে আনতে দিচ্ছে না!”
“আজগুবি কথা বলবেন না প্রোফেসর। কেউ আপনাকে বাধা দিচ্ছে না। আপনি তিনটি বাদাম আলাদা করেছেন, হাতেরটা তার পাশে রাখলে চার হবে। ব্রিজ বলে কিছু নেই”।
আলমগির কবির অস্থির হয়ে উঠলেন, “আপনি বুঝতে চেষ্টা করুন! ব্রিজ আসলে একটা অসিম সংখ্যা, কিন্তু এটা গোনা যাবে। আমি যদি ব্রিজ সংখ্যক বাদাম একসাথে করতে পারি তাহলে সেখান থেকে বাদাম কখনো কমবে না। একটা সরিয়ে নিয়ে সেখানে নতুন একটা বাদাম সৃষ্টি হবে। কেউ একজন চাচ্ছেনা মানুষ এই রহস্য উদ্ঘাটন করুক। তাই আমাকে সে বাধা দিচ্ছে”।
“অনেক হয়েছে বাদ দিন”।
“না আমি বাদ দেবনা। আমি প্রমান করে ছাড়ব। কেউ একজন আমাকে ... আটকাচ্ছে.... আমাকে দিচ্ছে না... আমার মাথার ভেতর সব গুলিয়ে যাচ্ছে... আমার গবেষণা হারিয়ে যাচ্ছে.....” প্রোফেসর বিছানার ওপর হাতদিয়ে জোরে জোরে ঘুষি মারতে থাকলেন, হাতের কাছের সব কিছু ছুড়ে ফেলতে শুরু করলেন।
“প্রোফেসর থামুন বলছি” ডক্টর ইকবাল ডাকলেন, “এই নার্স!”
দুজন নার্স দৌড়ে কেবিনে ঢুকল।
ডক্টর নির্দেশ দিলেন, “ওনাকে শান্ত কর, দরকার পড়লে ঘুম পাড়িয়ে দেও”।
নার্স দুজন প্রোফেসর আলমগির কবিরকে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ল। প্রোফেসর তখনো বলছেন, “তুই কে জানিনা... কিন্তু তুই আমাকে আটকে রাখতে পারবি না....আমি ব্রিজ খুজে বের করবই.........”
ডক্টর ইকবাল কেবিন থেকে বেরিয়ে এসে তার হাসপাতালের ইন-চার্জ ডক্টর শহিদের সাথে দেখা করলেন। বললেন, “শহিদ, ৩১১ নং কেবিনের রোগীকে যেন কোনও কাগজ কলম দেওয়া না হয়। তাকে অংক থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে”।
শহিদ মাথা দুলিয়ে বলল, “জী স্যার!”
***
পরদিন আবার প্রায় একই সময়ে ফোন এল ডক্টর ইকবাল মাহমুদের কাছে। ফোন করেছে শহিদ।
“কি ব্যাপার শহিদ?”
“খারাপ খবর আছে স্যার!”
“কি খবর?” উৎকণ্ঠা বোধ করছেন ডক্টর ইকবাল।
“৩১১ নং কেবিনের পেসেন্ট প্রোফেসর আলমগির কবিরকে পাওয়া যাচ্ছে না!”
“বল কি?”
“হ্যা স্যার। রাতেও সব ঠিক ছিল। সকালে ব্রেকফাস্ট দিতে গিয়ে নার্স দেখে কেবিনে কেউ নেই” শাহিদের কণ্ঠে অস্থিরতা টের পেলেন ডক্টর ইকবাল। “আপনি এক্ষুনি আসুন, স্যার!”
“হ্যা আমি আসছি। আমি আসার আগে তুমি কেবিনে কাউকে ঢুকতে দিওনা....”
হাসপাতালে পৌছাতেই ডক্টর শহিদ দৌড়ে এল। ডক্টর ইকবাল বললেন, “দরজা খোলা ছিল বা জানালা ভাঙা?”
“না স্যার, দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। ভেতর থেকে খোলার কোনও উপায় নেই। জানালার কাচ আর গ্রিল ঠিক আছে, ভাঙ্গার কোনও প্রশ্নই আসেনা। আর বাথরুম থেকে পালাবার কোনও রাস্তা তো নেই”।
“কিন্তু একটা মানুষতো স্রেফ গায়েব হয়ে যেতে পারেনা!”
“আমি কিছু বুঝতে পারছিনা স্যার!”
“সিসি ক্যামেরার ফুটেজে কিছু আসেনি?”
“স্যার... হাসপাতালের নতুন নিয়ম অনুযায়ী আমরা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য রাতে রোগীরা ঘুমিয়ে পড়লে সিসি ক্যামেরাগুলো অফ করে দেই”।
কেবিনে ঢুকে চমকে উঠলেন ডক্টর ইকবাল। সমস্ত কেবিনের দেয়ালে আর সিলিং জুরে অংক করে রেখেছেন প্রোফেসর। কাগজ কলম না পেয়ে অন্য কায়দায় অংক করেছেন তিনি। দেয়ালের কালচে দাগগুলো দেখে স্পষ্ট বলে দেয়া যায় নিজের শরীরের রক্ত দিয়ে অংক করেছেন প্রোফেসর!
শহিদ বলে উঠল, “ওহ গড! লোকটা একটা বদ্ধ উন্মাদ ছিল!”
একবার সারা কেবিনে চোখ বুলিয়ে নিয়ে বিছানার উপর একটা কাগজ পড়ে থাকতে দেখলেন ডক্টর ইকবাল। এগিয়ে গিয়ে হাতে তুলে নিলেন। একটা চিঠি, ডক্টর ইকবালকে উদ্দেশ্য করে লেখা। তিনি পড়তে থাকলেন,
ডক্টর ইকবাল,
আপনি যখন এই চিঠি পরছেন, তখন আমি অনেক দূরে । হয়ত কোনও প্যারালাল ইউনিভার্সে অবস্থান করছি। আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে অবশেষে আমি সেই ব্রিজের সন্ধান পেয়েছি।
আপনি কি জানেন এই ব্রিজ খুজে বের করার ব্যাপারে আপনি আমাকে পরোক্ষ ভাবে সাহায্য করেছেন! আপনি নার্সদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন আমাকে কোনও কাগজ কলম দেয়া না হয় । আমি আগেই ধারনা করেছিলাম এই ধরনের একটা সিদ্ধান্ত আপনি নিতে পারেন, তাই বেশ কিছু কাগজ আর কলম কেবিনের বিভিন্ন যায়গায় লুকিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু আপনার কাগজ কলম না দেয়ার সিদ্ধান্ত আমাকে নতুন একটা পথ দেখাল।
আমি খেয়াল করে দেখলাম, যতবার ব্রিজের খুব কাছাকাছি পৌছাতে পেরেছি, প্রত্যেকবারি আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলাম। আপনি জানেন মানুষের শারীরিক কোনও ব্যাথা বা অসুস্থতা যখন প্রকট আকার ধারন করে, তখন মানুষিক সমস্যাগুলো নিয়ে ভাবার অবকাশ পাওয়া যায় না বা ভাবতে ভাল লাগে না। আপনাকে বলেছি এক অদৃশ্য শক্তি আছে, যা ব্রিজকে প্রতিনিয়ত রক্ষা করে চলেছে। তাই যতবার ব্রিজের কাছাকাছি পৌছাই, প্রত্যেকবারই মস্তিষ্কের ওপর চাপ পরে। সবকিছু গুলিয়ে যায়। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার সময় সেই শক্তি খুব একটা কার্যকরী থাকে না। আমাদের অসচেতন মনের ওপর সে প্রভাব খাটাতে অক্ষম। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম নিজের শরীরকে কষ্ট দেব আর অসচেতন মনকে ছেড়ে দেব ব্রিজের সন্ধানে। শরীরকে খতবিক্ষত করলাম। রক্তের আচরে ফুটিয়ে তুললাম সমীকরণের ছক এবং একটা সময়ে পৌঁছে গেলাম সমাধানে।
আপনি আমাকে ব্রিজ সংখ্যাটি গুনে দেখাতে বলেছিলেন। যেহেতু ব্রিজ একটি পূর্ণ সংখ্যা তাই এতি সহজেই গোনা যায়। কিন্তু ব্রিজ হচ্ছে একটি অসীম সংখ্যা। যা গুনে কখনো শেষ করা যাবে না। আপনি ডেক্সের ওপর দেখুন আমি ব্রিজ সংখ্যক বাদাম গুনে রেখেছি। এখান থেকে যতবার একটি বাদাম সরিয়ে নিবেন, নতুন একটি বাদাম সৃষ্টি হবে। কিন্তু মনে রাখবেন একাধিক বাদাম সরিয়ে নিলে ব্রিজের ব্যালেন্স নষ্ট হবে এবং ব্রিজ সংখ্যাটি বিলুপ্ত হবে।
আপনার জন্য শুভ কামনা........
আলমগির কবির
ড. ইকবাল ডেস্কের দিকে তাকালেন কোনও বাদাম চোখে পরল না। বললেন, “শহিদ! ডেস্কের ওপর কি কিছু বাদাম ছিল?”
“ছিল স্যার, খেয়ে ফেলেছি”।
“কি বলছ তুমি? কেন খেলে?”
ডক্টর শহিদ আমতা আমতা করে বলল, “ইয়ে....স্যার, আসলে আপনি চিঠি পড়ছিলেন..... আমার করার মত তেমন কিছু ছিল না । বাদামগুলো দেখলাম......”
“কয়টা বাদাম ছিল ওখানে?”
“মনে নেই স্যার”।
“মনে নেই মানে? মনে করার চেষ্টা কর”।
“তিন-চারটা হবে”।
ডক্টর ইকবাল অস্থির কণ্ঠে বললেন, “তিনটা নাকি চারটা?”
“খেয়াল করতে পারছিনা স্যার”।
ডক্টর ইকবাল হতাশ ভঙ্গিতে একটি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
***
প্রফেসর আলমগির কবির দেখলেন তার কেবিনের দেয়ালগুলো খুব জীর্ণ মনে হচ্ছে, যেন শত বছরের পুরনো। জানালার কাচ ভাঙা, কেবিনে কোন দরজা নেই। কোথায় গেল ডেস্ক আর রিভলভিং চেয়ার? পুরনো জংধরা মরিচা পরা বেড! তিনি বুঝতে পারছেন চিরচেনা পৃথিবীর বাইরে চলে এসেছেন। এটা তার পরিচিত কোনও ইউনিভার্স নয়। ব্রিজ তাকে অন্য কোনও ইউনিভার্সে নিয়ে এসেছে!
প্রফেসর দ্রুত কেবিন ছেড়ে বেরিয়ে এলেন। সমস্ত হাসপাতাল জনশূন্য। তবে দু একটা আসবাব দেখে বোঝা যাচ্ছে কোনও এককালে এটি একটি হাসপাতাল ছিল। যেখানটায় লিফট থাকার কথা, সেখানে দেখা যাচ্ছে একটা বিশাল কাল গহ্বর। প্রফেসর দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামল। কিন্তু রাস্তায় বেড়িয়ে যা দেখলেন, তা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। রাস্তার দুপাশে রং ঝলসে যাওয়া ভেঙে পরা বাড়িঘর, রাস্তায় পুরনো যানবাহন আর যন্ত্রপাতির স্তূপ, যতদূর চোখে যায় একটা গাছও চোখে পড়ছে না, সমস্ত আকাশ লালচে আভায় ঢেকে গেছে! সমস্ত শহরকে মনে হচ্ছে পুরনো কোনও সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ। ব্রিজ তাকে কোথায় নিয়ে এসেছে? এ তো এক পরিত্যাক্ত পৃথিবী!
জোরে চিৎকার করে উঠলেন প্রোফেসর। “কেউ কি আছেন....?” উদ্দেশ্যহীনভাবে রাস্তায় দৌড়াতে শুরু করলেন তিনি। এ কেমন পৃথিবী? এখানে কি কোনও মানুষ বাস করেনা? কোনও এককালে নিশ্চয়ই মানুষ বাস করত এখানে! অন্তত বাড়িঘর, রাস্তা আর যানবাহন তো দেখা যাচ্ছে! কি হয়েছে সব মানুষজনের? হঠাৎ কিছু একটার সাথে পা বেঁধে পরে গেলেন প্রোফেসর। বুকে ব্যাথা পেলেন। ওঠার চেষ্টা করতেই মুখ দিয়ে কাতর একটা আওয়াজ বেড়িয়ে এল। ঠিক তখনই রাস্তার ওপাশ থেকে কাউকে আসতে দেখলেন তিনি। একজন না দুজন আসছে। প্রোফেসর কবির কষ্ট করে উঠে দাঁড়ালেন। যে দুজন আসছে তাদের সারা শরীর ইউনিফর্মে ঢাকা, মুখে মুখোশ, গায়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরক্ষা বর্ম, হাতে ধরে আছে কোনও অদ্ভুতদর্শন মারণাস্ত্র। এরা কি মানুষ না রোবট?
ওরা কাছে আসতেই প্রোফেসর বলা শুরু করলেন, “আমি একজন মানুষ। অন্য ইউনিভার্স থেকে....” এর বেশি কিছু বলার সুযোগ পেলেন না। ওদের একজন কিছু একটা ছোঁয়াল তার গায়ে। অচেতন হয়ে ঢলে পরলেন।
***
ধীরে ধীরে চোখ মেললেন প্রোফেসর কবির। প্রথমদিকে সব কিছু ঝাপসা দেখলেন। বার কয়েক চোখ মিট মিট করতেই দৃষ্টি কিছুটা পরিস্কার হয়ে এল। অন্ধকার একটা কক্ষে চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে তাকে। রুমের ভেতর অল্প পাওয়ারের বাতি জ্বলছে। একটু নড়া চড়া করতেই বাধনগুলো আরও শক্ত হয়ে গেথে বসল। বুঝলেন, এ বাধন নিজের চেষ্টায় খোলা সম্ভব হবেনা।
দরজা খোলার আওয়াজ হল। দীর্ঘদেহী একজন মানুষ ঢুকলেন ভেতরে। লোকটা একটু পা টেনে টেনে হাঁটছে। একটা খালি চেয়ার টেনে এনে প্রোফেসর কবিরের মুখোমুখি বসলেন। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না প্রোফেসর। তার সামনে বসে আছে ডক্টর উইলিয়াল স্পেনসার!
“ডক্টর স্পেনসার! আমি জানতাম আপনি বেঁচে আছেন! আমি জানতাম আপনি ব্রিজের সন্ধান পেয়েছেন”।
ডক্টর স্পেনসার তিক্ত ভঙ্গিতে একটু হাসলেন। “আপনি যার কথা ভাবছেন, আমি সেই ব্যাক্তি নই”।
“তারমানে?”
“আমি উইলিয়াম স্পেনসার। তবে আমি আপনার ইউনিভার্সের লোক নই। আমি এই ইউনিভার্সের মানুষ!”
“কিন্তু আমাদের ইউনিভার্সের ডক্টর স্পেনসার? তার কি হয়েছে?”
“আপনার ধারনাই ঠিক। সে ব্রিজের সন্ধান পেয়েছিল। আমাদের ইউনিভার্সে এসেছিল অথবা বলতে পারেন আমরাই তাকে টেনে নিয়ে এসেছিলাম এখানে”।
“আপনারা এনেছেন মানে? সেটা কিভাবে সম্ভব?”
“আমরা ব্রিজের সাহায্যে সমস্ত ইউনিভার্সে সাথে যোগাযোগ রাখি। যখনই কেউ ব্রিজের কাছাকাছি চলে আসে তার মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি করে তাকে দিকভ্রান্ত করে দেই। কিন্তু সে যদি ব্রিজ আবিষ্কার করেই ফেলে, তাহলে তাকে এখানে টেনে এনে মেরে ফেলি”।
“কি বলছেন? ডক্টর উইলিয়ামকে কি করেছেন?”
“তাকে মেরে ফেলা হয়েছে, যেমনটি করা হবে আপনার ক্ষেত্রেও”।
“আতঙ্কিত বোধ করলেন প্রোফেসর। কিন্তু কেন?”
“আমি ব্রিজরক্ষক। যেকোনো মূল্যে ব্রিজের গোপনীয়তা রক্ষা করা আমার দায়িত্ব। তাই কেউ ব্রিজের সন্ধান পেলেই তাকে সরিয়ে দিতে হয়”।
“কিন্তু কেন করছেন আপনি এই কাজ? এমন একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার কেন আপনি আড়াল করে রাখতে চাইছেন?”
“প্রোফেসর কবির! আপনার কোনও ধারনাই নেই এই ব্রিজ আসলে কি! আপনি ব্রিজ হচ্ছে প্যারালাল ইউনিভার্সগুলোর মাঝে যোগসূত্র স্থাপনকারি। কিন্তু ব্রজের ক্ষমতা এখানেই শেষ নয়”।
প্রোফেসর চুপ করে থাকলেন আরও কিছু শোনার আশায়।
“এই ব্রিজ হচ্ছে দ্বিমাত্রিক-ত্রিমাত্রিক-চতুর্মাত্রিক এমনকি পঞ্চম মাত্রার জগতের মেলবন্ধন। ব্রিজের সাহায্যে যেমন এক ইউনিভার্স থেক আর এক ইউনিভার্স যাওয়া যায়, ঠিক তেমনি এক ডাইমেনশন থেকে অন্য ডাইমেনশন, এক সময় থেকে অন্য সময়, এক স্পেস থেকে অন্য স্পেস সহ সবখানে যাওয়া সম্ভব। ব্ল্যাক হোল, ওয়ার্ম হোল, হাইপার ডাইভ, কোয়ান্টাম মেকানিজম, টাইম প্যারাডক্স সহ সমস্ত তত্ত্বের মুল হল এই ব্রিজ। সৃষ্টির সকল রহস্যের সমাধান আছে ব্রিজের কাছে!
“কিন্তু আপনি এই ব্রিজকে গোপন রাখতে চাইছেন কেন?”
“আপনি এখনও বুঝতে পারছেন না! এখনও ধারনা করতে পারছেন না এই জিনিস সাধারন মানুষের হাতে পড়লে কি ঘটতে পারে?” ডক্টর উইলিয়াম স্পেনসারের চোখ দুটো যেন দপ করে জ্বলে উঠল। “চেয়ে দেখুন আমাদের ইউনিভার্সের দিকে। সবার হাতে ব্রিজের সন্ধান পৌঁছে দেয়া হয়েছিল। সবাই হয়ে উঠে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। মেতে উঠে একে ওপরকে ধ্বংস করে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার খেলায়! তার ফলাফল কি দারিয়েছে দেখুন! পৃথিবীতে নেমে এসেছিল চরম বিপর্যয়। আমি ও আমার কিছু অনুসারীরা শুধু সারভাইভ করতে পেরেছি। আর কেউ বাচেনি। আপনি কি জানতে চান এই ব্রিজের রহস্য আমাদের ইউনিভার্সের সমস্ত মানুষকে জানিয়ে দিয়েছিল কে? লোকটা হল “প্রোফেসর আলমগির কবির” নামের একজন অতি মূর্খ, গোঁয়ার! বিপর্যয়ের প্রথম ধাক্কাতেই সে মারা পরেছে”!
প্রোফেসর একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন।
“তাই আমি ব্রিজরক্ষকের মহান দায়িত্ব হাতে তুলে নিয়েছি। আমি চাইনা এখানে যা ঘটেছে তা অন্য ইউনিভার্সগুলোতে ঘটুক। তাই তো ব্রিজের কাছ থেকে সবাইকে দূরে রাখার কাজ করে চলেছি অনবরত। আমার মৃত্যুর পর আমার অনুসারীরা এই দায়িত্ব পালন করে যাবে”।
এরপর আর বেশি কথা হলনা। ডক্টর উইলিয়াম তার দুজন অনুসারীকে নির্দেশ দিলেন প্রোফেসরকে নিয়ে যেতে। অনুসারিদুজন যখন প্রফেসরকে একটা নদীর ধারে দাড় করিয়ে গুলি করে মেরে ফেলতে উদ্যত হয়েছে ঠিক তখন অন্য একটা ইউনিভার্সে “ডক্টর ইকবাল মাহমুদ” নামে একজন সাইক্রিয়াটিস্ট জ্বরের ঘোরে প্রলাপ বকছেন। কিন্তু নিজের অবচেতন মনকে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন ব্রিজের খোঁজে.........
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০২
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: বাপরে!!! ম্যাথ নিয়ে তো ভালো কি দারুন লিখেছেন আপনি!! সাধুবাদ আপনাকে
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: সবার আগে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন।
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৮
আশরাফুল হক (খুলনা) বলেছেন: খুবই ভাল লেগেছে সত্য বলতে অসম্ভব ভাল
আবার কবে পাব এমন লেখা ?
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: খুব তাড়াতাড়ি পাবেন না! একটা লেখার পর আর একটা লিখতে আমার অনেক সময় লেগে যায়! ভাল থাকুন আপনি।
৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪৫
ইলুসন বলেছেন: বর্ণনা ভাল হইছে, মুভিটাও দেখতে হবে। প্যারালাল ইউনিভার্স আছে বিশ্বাস হতে চায় না, তবে কে জানে কোনটা সত্য!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: গল্পটা কিন্তু মুভির বর্ণনা না। গল্প আমার সম্পূর্ণ নিজস্ব। মুভি আর গল্পের চরিত্র, কাহিনী, পেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। অবশ্য মুভিটাও ভাল ছিল। থাকতেও তো পারে! বিশ্বজগতের সৃষ্টির রহস্য আমরা কতটুকুই বা জানি বলেন?
৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩১
rudlefuz বলেছেন: লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লাবিল্লালিউল আজিম
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: কিতা হইছে তুমার? দোয়া দরুদ পড়া ধরলা যে!
৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ওরে বাবা অনেক বড়!
রাতে অবশ্যই পড়বো! আপাতত বুকমার্কড!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আমার পোস্টে আসার আগে হাতে একটু সময় নিয়া আসবেন! প্রত্যেকটা গল্পই বড় হয়। কেন জানি ছোট করে লিখতে পারি না!
৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এত সুন্দর একটা গল্প মাত্র ৪৩ জন পড়ছে?
পাঠক হিসেবে লজ্জিত হলাম।
সাহসী পদক্ষেপ, সন্দেহ নেই। তথ্য-ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ জ্ঞানীরা করবেন, তবে সা ফি হিসেবে চমৎকার একটা গল্প। গল্পের মাঝে মাঝে পুরনো গণিতের বাতটা চাগিয়ে উঠছিল। কমেন্ট করে তা কমালাম।
আরও লিখুন। আমাদের দেশে এই ধরনের লেখা লেখেন অনেকেই, কিন্তু যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন। হয় তা কিশোর রোমাঞ্চ হয়, নইলে বিজ্ঞানের গাঁজাখুরি রম্য। মানসম্পন্ন লেখা ব্লগেই নয় শুরু হোক, ক্ষতি কি?
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই ভাই। আপনি পড়েছেন এতেই আমি খুশি। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে, মানুষ ব্যাস্ত হয়ে পড়ছে। এখন আর গল্প পড়ার মত সময় কই বলেন?
সাই ফাই দু চারটার বেশি লিখিনি। আপনার মন্তব্বে উৎসাহিত হলাম। সামনে আরও লিখব ইনশাল্লাহ। আশা করি পাশেই থাকবেন।
৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: একটানে পড়ে ফেললাম। প্রোফেসর শঙ্কুর সাথে একমত।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই। প্রোফেসর শঙ্কুর মন্তব্য আমারো খুব ভাল লেগেছে।
৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪০
রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: শুভ নববর্ষ............।
ভালো কাটুক ১৪২০ সালের প্রতিটি খন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্যও শুভকামনা থাকল।
১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: দারূন একটা লেখা......এক নিঃশ্বাসে পড়লাম......বেশি জোস...
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল লাগাতে পেরে আনন্দিত হলাম।
১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রফেসর প্রোফেসর শঙ্কুর সাথে আমিও একমত। এত চমৎকার একটা লেখা, এত পরিনত দূর্দান্ত একটা লেখা অনেকেই দেখেনি। একজন পাঠক হিসেবে আমি প্রচন্ড হতাশ। আমি আনন্দিত এই কারনে যে, সামুতে অনেকেই বলে থাকেন, দিন দিন কোয়ালিটি ব্লগার বা লেখকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, আমার মনে হয়, আপনাদের মত কিছু ভালো লেখকের কল্যানে সেই হারানো দিন আবারও ফিরে আসবে।
ব্যক্তিগত ভাবে অনেকদিন পর কোন গল্প আমি প্রিয়তে নিলাম। শেয়ার করলাম। চমৎকার এবং প্রানবন্ত একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২২ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৫৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: কোনও একটা অদ্ভুত কারনে আপনার এই কমেন্ট আমার চোখে পড়েনি। আজ প্রায় একমাস পর হঠাৎ কি মনে করে একটু চোখ বুলাতে গিয়ে দেখি আগে পরের কমেন্টে আনসার দিয়েছি। আপনারটা বাদ পরে গেছে। আমি খুব লজ্জিত এই কারনে!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গল্পটা প্রিয়তে নেয়ার জন্য এবং শেয়ার করার জন্য। অনন্ত শুভকামনা আপনার জন্য।
১২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৯
বাংলার হাসান বলেছেন: অসাধারন লেখা, ভাল লাগা রেখে গেলাম।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বাংলার হাসান। ভাল লাগল আপনার মন্তব্য।
১৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৫
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: সময় করে পড়ব। আপাতত প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপনি পড়বেন সে বিষয়ে আমার কোনও সন্দেহ নাই! দায়িত্ববান নাগরিক বলে কথা! ভাল থাকুন ভাই।
শুভকামনা আপনার জন্য।
১৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: অনেক বড় গল্প ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: কি করব বলুন ? ছোট করে তো লিখতে পারিনা!
১৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৯
এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: ম্যাথ খুব বেশী ভালো লাগে না, বাট গল্পের ধরনটা অসাধারন ছিলো। + + +
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৩
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ম্যাথ আমারও ভাল লাগেনা। বাট গল্পটা লেখার পর থেকে ম্যাথে প্রচুর আগ্রহ জন্মেছে আমার। ভাল থাকুন আপনি।
১৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৩
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: গল্পটা প্রিয়তে গেল। এত ঝামেলাপূর্ণ জিনিস এক করতে চেষ্টা করাও একরকমের দু:সাধ্য
অনেক অনেক শুভকামনা।
আরো আরো লেখ। ফেসবুকে নক কইরো, কথা আছে
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ফেসবুকে নক তো মাঝে মাঝে করি ভাই! সাড়া তো পাইনা! শেষ করার পর বইলেন কেমন হইছে!
আমার মনে হয় গল্পটা আপনি ভাল বুঝবেন।
১৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩২
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: আপনার আগের গলপোটা মজা নিয়ে পড়েছিলাম।এটাও পড়বো সময় নিয়ে...
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ুন। কোনও সমস্যা নেই। তবে কেমন লেগেছে জানালে খুশি হব। ভাল থাকুন সব সময়।
১৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০১
স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: এতো বড় গল্প দেখে ভাবছিলাম পরে কোন এক সময় পড়বো। কিন্তু শুরু করার পর আর ছাড়তে পারলাম না, একটানে পুরোটা পড়ে ফেললাম
পরিপূর্ণ একটা সাইফাই গল্প। এককথায় অসাধারন।
আপনি নিয়মিত লিখতে থাকেন। আপনার গল্প গুলো ভালো লাগছে।
অনেক শুভকামনা।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে আমারও মনে হয়েছিল গল্পটা পড়া শুরু করলে আর কারো পক্ষে থামা সম্ভব হবেনা। আপনার উৎসাহ পেয়ে খুব ভাল লাগল। আপনার লেখাও আমার খুব ভাল লাগে, নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করি। ভাল থাকুন, আমার শুভকামনা থাকল।
১৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৪৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: অসাধারন গল্প। সামুতে অতি অল্প পরিমানে সাইন্স ফিকশান আসে।যা আসে তাও গতানুগতিক, হুমায়ূন আহমেদ আর জাফর ইকবালের প্রভাব থেকে সেগুল একদমই বেরোতে পারেনা। আপনার গল্পটা সেদিক থেকে একেবারেই ব্যতিক্রম। অসাধারন কন্সেপ্ট। গল্পের জন্য পড়াশোনা করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। অনুরোধ থাকবে, নিয়মিত না পারলেও (পারলে খুব ভাল হয়) মাঝে মাঝেই আমাদের এমন সাইন্স ফিকশান উপহার দিন। সাইন্স ফিকশানে আপনি সামুর পথ প্রদর্শক হয়ে থাকতে পারবেন।
পোস্টে প্লাস এবং অতি অবশ্যই প্রিয়তে।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আমি চেষ্টা করেছি জাফর ইকবালের ছায়া থেকে বেরিয়ে গল্প লিখতে। আমার কাছে মনে হয় কি জানেন? জাফর ইকবালের গল্পগুলো তেমনভাবে কোনও দিকে যায়না। কিন্তু হুমায়ুন আহমেদের লেখা সাইফাই গুলো একেবারে খারাপ হয়নি কিন্তু। উনি একটু গতানুগতিক চিন্তার বাইরে গিয়ে লিখেছেন।
আমি সব সময় চেষ্টা করি যে বিষয়গুলো নিয়ে কেউ কখনো চিন্তা করেনা সেগুলো তুলে আনতে। কতটা সফল হয়েছি তা আপ্নারাই ভাল বলতে পারবেন। আপনার মন্তব্য ভাল লাগল। ভাল থাকুন সবসময় এই কামনা করব।
২০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:২৭
শফিক আসাদ বলেছেন: ফেসবুকে কারও শেয়ার করা লিংক ধরে এসে একটানে পড়লাম। ভালো লাগলো। চালিয়ে যান ভাই। হার্ড ওয়র্ক অল্ওয়েজ পেইজ অফ।
শঙ্কুর সাথে একমত। শরম রাখার জায়গা নাই।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ফেসবুকে অনেকেই গল্পটা শেয়ার করেছে দেখলাম । তাদের সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই আপনাকেও। ভাল থাকুন এই কামনা করি।
২১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪৫
অচিন.... বলেছেন: darun
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকুন।
২২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩৮
ফারহুম বলেছেন: পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বসেছিলাম- একটানে পুরোটা পড়ে + দিয়ে শেষ করলাম
সত্যি অসাধারন লেগেছে
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: কিন্তু মাত্র একটা প্লাস দিলেন! আমি কিন্তু মাইন্ড খাইলাম! আপনের সাথে আর কোনও কথা নাই!
২৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন: সত্যি অনেক দিন চমত্কার একটা গল্প পড়লাম !
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ অপু তানভীর ভাই। খুশি হলাম অনেক। ভাল থাকুন আপনি। শুভরাত্রি।
২৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
মামুণ বলেছেন: অসাধারন একটা গল্প এক নিশ্বাসে পড়ে ফেললাম ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকুন সদাই।
২৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
হায়রে দুনিয়া বলেছেন: অসাধারণ
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
২৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
অদ্ভুতুরে বলেছেন: চ্রম!
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপ্নারে ধইন্না পাতা (ধন্যবাদ)
২৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
্নিজাম জয় বলেছেন: সাধারণত এতো বড় পোস্ট মনযোগ দিয়ে পড়া হয়না সবসময়।কিন্তু এটা পড়া শেষ করার পর বুঝলাম যে লেখাটা একটু বড়।পড়ার সময় কোন দিকে খেয়াল ছিলো না, নিঃশ্বাস নিছি আর পড়ছি......
অসাধারণ।+++++++++
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৩
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হ্যাঁ... আমার বিশ্বাস ছিল লেখাটা যতই বড় হোক মানুষ আগ্রহ নিয়ে পড়বে। ভাল লাগছে আপনারা পড়েছেন দেখে। ভাল থাকুন।
২৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন:
অসাধারন এক সায়েন্স ফিকশন।ভাল্লাগছে ভাই।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুরাদ। ভাল থাকুন আপনি।
২৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
তিক্তভাষী বলেছেন: অসাধারণ! খু্বই ভালো লেগেছে!
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: তিক্তভাষীর মুখে আমার গল্পের প্রশংসা! এই আনন্দ আমি কোথায় রাখিরে! ভালা থাকিয়েন ভাই।
৩০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
অক্টোপাস পল বলেছেন: ভাল লিখছস মামা। চালায়া যা।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: চালামু মামা। থাকিস লগে। তোগো ভরসাতেই তো এখনও বাইচা আছি রে। ভাল থাক।
৩১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: ব্যক্তিগতভাবে সাই ফাই পছন্দ করি না , কিন্তু এই গল্পটা সত্যিই শ্বাসরুদ্ধকর... অনেক বেশি সুন্দর লিখেছেন।
ব্লগের ভালো লেখা অনেক মিস হয়ে যাচ্ছে।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আমারও মিস হয়, কিন্তু সময় করে আপনাদের জমে থাকা লেখা গুলো পড়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। কি করব বলুন? ব্যাস্ত আমরা সবাই। দিন যাচ্ছে আর ব্যস্ততা বাড়ছে। আপনার জন্য শুভকামনা থাকল।
৩২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫১
দিগন্ত নীল বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ ।এক নিঃশ্বাসে পড়লাম ।চোখ আর হৃদপিন্ড ব্যতীত আমার জগত প্রায় অসাঢ় হয়ে গিয়েছিলো ।
ভালো লাগা প্রকাশের ভাষা নেই ।বাট ভিজিটরের সংখ্যা দেখে অবাক ।মাত্র ৩০০ ।ভালো থাকুন আর আমাদের অবাক করুন প্রতিনিয়ত ।শুভকামনা অশেষ ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ৩০০ ই এনাফ, নীল। এর বেশি দিয়ে কি হবে? তোমরা কয়েকজন কাছের মানুষ নিয়মিত সময় দিচ্ছ আমার ব্লগে এতেই আমি সন্তুষ্ট। ভাল লেগেছে জেনে খুব ভাল লাগছে।
তোমার লেখা থেমে আছে কেন? অনেক দিন তোমার কোনও লেখা দেখছি না যে!
৩৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: আমি কিন্তু পড়তে পড়তে ভাবছিলাম , আপনি মে বি ম্যাথ এ পড়েন । পারফেকশন এর জন্য অনেক হার্ড ওয়ার্ক করছেন বোঝাই যাচ্ছে , এন্ড সাকসেসফুল , যদিও আমি ম্যাথ বেশি বুঝিনা
কিন্তু গল্প অসাম লাগল ।তথ্য ,বর্ণনা , থিম , মিলিয়ে চমৎকার সাই ফাই । খুব উপভোগ্য একটা গল্প ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: াহ! ম্যাথ আমার একদমই পছন্দ না। তবে গল্পটা সাজাতে গিয়ে ম্যাথ নিয়ে রীতিমত গবেষণা করতে হয়েছে! তাই ম্যাথের প্রতি বেশ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে আমার। এখন মনে হচ্ছে ম্যাথ সাবজেক্টটা আসলে ততটা খারাপ না। এর গভীরে লুকিয়ে আছে অনেক রহস্য।
আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৩৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মুগ্ধতাকে ছাড়িয়ে গেল।
++++++++++++
আরও একবার পড়ব।
ব্লগে এই ধরনের লেখাগুলো খুব বেশী পাওয়া যায়না। আপনি চালিয়ে গেলে কিছু দুর্দান্ত লেখা পাব। আশা করি ধারাবাহিকতা থাকবে।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: চেষ্টা করব ভাই চালিয়ে যাওয়ার। আপনারা পাশে থাকলে উৎসাহ পাই। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন।
৩৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
s r jony বলেছেন: ওরেরেরেরেরেরেরেরেরেরেরে
চমৎকার হইছে, এর বেশি কিছু মুখ দিয়ে বের করতে পারলাম না,
আপনাকে অনুশারিত করলাম।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, অনুসরনে নেয়ার জন্য। আশা রাখি সময় করে আপনার ব্লগেও নিয়মিত যাব। ভাল থাকুন।
৩৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩
লাবনী আক্তার বলেছেন: দারুণ গল্প! পড়তে পড়তে একটা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম। পোস্টে ++++++++++্
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন। ভাল থাকুন সব সময়।
৩৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩
লাবনী আক্তার বলেছেন: দারুণ গল্প! পড়তে পড়তে একটা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম। পোস্টে ++++++++++্
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: মনে হচ্ছে গল্পটা আপনার একটু বেশিই ভাল লেগে গেছে! একই কমেন্ট দুবার!
৩৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
মাক্স বলেছেন: অসাধারন!
শুধু এই শব্দটাই আসছে পড়ার পর। আগেও কয়েকবার ঘুরে গেসি কিন্তু সময়ের অভাবে পড়া হয় নাই।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: সমস্যা নাই মাক্স। সময় নিয়া আস্তে ধীরে পরছেন তাতেই খুশি আমি। এই রকম লেখা চট কইরা পড়ে ফেললে অনেক কিছুই বোঝা বাঁকি থাকে। ভাল থাকেন।
৩৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৪৭
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: বিস্তর খাটাখাটনি করেছেন বোঝা যাচ্ছে। তবে ব্রিজ এর কনসেপ্ট অবিশ্বাস্য লাগলো। আর কেমন সবকিছু পেঁচিয়ে ফেলেছেন মনে হল। আইডিয়াটাও পুরনো মনে হল।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আইডিয়া পুরনো মনে হওয়ার কারনটা বুঝতে পারলাম না। এই আইডিয়া নিয়ে আগে লেখা হয়েছে এমন কিছু আমার চোখে পড়েনি। অবিশ্বাস্য মনে হওয়াটা স্বাভাবিক, কিন্তু তথ্যগুলো ভুল দেই নি আমি, এই সংক্রান্ত বিষয়ে সত্যিই গবেষণা চলছে।
ভাল থাকুন আপনি।
৪০| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:০৬
সাদরিল বলেছেন: এই গল্প পড়ে পাঠক হিসেবে আমার নতুন করে জন্ম হলো।ফেসবুকে আমাদের পেইজে শেয়ার দিলাম
১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই ভাই। তবুও বলি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানবেন। ভাল থাকুন।
৪১| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
ইলুসন বলেছেন: না ভাই আমি ওইটা বলি নাই। বললাম আপনি যেভাবে শুরু করছেন গল্পটা, মাঝখানে ব্যাখ্যা দিলেন, শেষের ফিনিশিং টাচ সব মিলিয়ে গল্পের বর্ণনা ভাল লাগছে আমার। যাইহোক আপনার ওই মুভি তো পাই না। আপনি লিঙ্ক দেন ডাউনলোড করব।
১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আমি বুঝতে পেরেছিলাম। আমার আনসারটাও কিছু মিন করে বলিনি। মুভি তো আমিও খুজে পাচ্ছি না। দাঁড়ান লিংক বের করে দিচ্ছি।
৪২| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩০
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: এন্ড এগেইন!!নিজেকে মাইনাস! দেরিতে পড়ার জন্যে.....সরি ভায়া!
এত্তো দারুঊঊঊঊন হয়েছে যে কোন ভাষা নাই! সত্যি মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়লাম একনিমেষে....!!
অসম্ভব ভালো হয়েছে...মেলাদিন সা।ফি পড়াহয়না...জাফর স্যারের গল্পের মতো টেইস্ট পাচ্ছিলাম! আপনিতো ভাই অতিরিক্ত ভালো লিখেন! প্লিজ পাঠকদের এভাবে বন্চিত করবেননা।জলদি নতুন গল্প দিন!!এবার আমিই ফার্স্ট হবো দেখবেন!
শুভেচ্ছা~~
২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৪২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ওহে বৃক্ষবন্ধু! দেরি হয়েছে তো কি হয়েছে? পড়েছেন যে তাতেই খুশি। আপনাকে ধন্যবাদ সেজন্য।
আমি চেষ্টা করেছি জাফর ইকবাল স্যার এর ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে লিখতে। তারপরও একটু রেশ থেকে গেছে হয়ত। কারন উনি আমারও একসময় প্রিয় লেখক ছিলেন।
নতুন গল্পের আইডিয়া তো মাথায় আছেই কিন্তু লিখতে আইলসামি লাগে!
ভালা থাকিয়েন।
৪৩| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: ৩৯ নং কমেন্টকে মাইনাস দিলাম!
আইডিয়া মোটেও পুরান না! অসাম....
ব্যাখ্যা গুলাও বেশ সাবলীল ভাবে বুঝানো হয়েছে।আমার মতো মানুষও বুঝতে পেরেছে!
লেখকে ++
২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে লেখা হয়েছে খুব কম। আমাদের দেশে তো একেবারেই কম। এর একটা প্রধান কারন হল বিজ্ঞানিরাই এখনও এইতত্ত পুরোপুরি বিশ্বাস করেনা। বুঝলাম না কেন ওনার কাছে কমন মনে হচ্ছে!
আপনাকে ধন্যবাদ!
৪৪| ২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
এরিস বলেছেন: অসাধারণ। আর কোন শব্দ নেই। অংকের মতো আপাত রসহীন একটি বিষয় নিয়ে গল্পের মাঝে মোটামুটি সুদীর্ঘ একটি বক্তব্য থাকার পরেও ইন্টারেস্ট হারায়নি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধরে রেখেছেন আপনি। এরকম গল্প আমি পড়িনি , কখনো পড়িনি। প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে আমিও খুব কৌতূহল বোধ করি। কিন্তু এভাবে ভাবতে পারিনি আপনি যেভাবে ভেবেছেন। এভাবে প্যারালাল ইউনিভার্সের সাথে সেতু তৈরি করে লেখাটি বিশ্বাসযোগ্য করে তোলাটা প্রায় অসম্ভব ছিল, অন্তত যদি আমি লিখতাম, আমার পক্ষে। একফোঁটাও সম্ভব অসম্ভবের কথা মনে আসেনি। পড়ে গেছি, হারিয়ে গেছি গভীর থেকে আরও গভীরে। ++++++++
৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৪৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপনি আমার গল্প পরলেন আর আমি আপনার মন্তব্য পড়লাম! অসাধারন মন্তব্য আপনার। গল্পটাকে এভাবে বিশ্লেষণ করেনি কেউ। প্রচুর খাটাখাটনি গেছে গল্পটা লিখতে গিয়ে। মনে হচ্ছে কষ্টটা সার্থক। সামনে প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে আরও কিছু লেখার ইচ্ছে আছে। আপাতত সাইফাই আর লিখছি না। কিছুদিন পর ধরব।
আপনার জন্য নিরন্তন শুভকামনা।
৪৫| ২৭ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭
ফরহাদ আহমদ নিলয় বলেছেন: বস। সেইরাম হইছে ।
এক নিশ্বাসে পরে ফেললাম ।
৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ নিলয়। আপনার কয়েকটা লেখা পড়েছি আমি। বেশ ভাল লেগেছে।
৪৬| ২৮ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৪২
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পটা পড়ে কমেন্ট করার মত শব্দ বা বোধ আমার এই মুহুর্তে নাই । তবে একটা কথা বলি, এটা পড়ার সময় আমি নিজ চোখে ঘটনাটি দেখতে পাচ্ছিলাম । পুরো ব্যাপারটিই আমারকাছে বিশ্বাসযোগ্য এবং যুক্তিপূর্ন মনে হয়েছে ।
'ব্রীজ' নাম্বার খোজার কাজটা শুরু করবো কিনা ভাবছি ।
৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপনি কি গনিতের ছাত্র নাকি? তাহলে আমাকেও একটু সাহায্য করেন। আমিও ব্রিজ খুজতে শুরু করেছি বেশ কিছুদিন ধরে! বলা যায়না, সত্যি সত্যি এমন কিছু তো থাকতেও পারে!
৪৭| ৩০ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। অনবদ্য প্লট সাজিয়েছেন। এখনও হতভম্ব ভাওবটা কাটিয়ে উঠতে পারিনি।
৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: গল্প লিখে আমি নিজেও হতভম্ব হয়ে পড়েছিলাম। কনসেপ্টটাকে বিশ্বাস করা ধরেছিলাম। আসলেই যদি প্যারালাল ইউনিভার্স থেকে থাকে তাহলে কেমন হয়!!
৪৮| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৫২
ইনকগনিটো বলেছেন: এই টপিকটা আমার বরাবরই প্রিয়। নিজেও প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে একটা গল্প লিখেছিলাম- একটি নীল গোলাপ। পড়েছেন মনে হয়। তাই আপনার গল্পটা আরও বেশি উপভোগ্য ছিলো আমার কাছে। তার সাথে সাবলীল বর্ণনা গল্পটাকে আলাদা একটা মাত্রা দিয়েছে।
অনেক অনেক শুভকামনা, নাজিম উদ দৌলা।
৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০৩
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হ্যা, আপনার অল্প কয়েকটা লেখা পড়েছি আমি। এর মধ্যে একটি নীল গোলাপ একটা। গল্পটা ভাল লেগেছিল আমার।
প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে আরও লেখার ইচ্ছে আছে। কিছুদিন বাদে লিখা ধরব।
পাশে থাকবেন এই আশা করি। আপনার জন্য শুভকামনা থাকল।
৪৯| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অসাধারণ ! আঁটসাঁট দুর্দান্ত পরিপূর্ণ গাঁথুনি , সাথে উত্তেজনা আর কি চাই !
আপনি দারুন শক্তিশালী , আপনাকে ভাই আর মিস নাই ।
পুরাই প্রেমে পড়ে গেছি ।
কাল্পনিক ভালবাসার কাছে আসলেই কৃতজ্ঞ , উনি আপনার কথা উল্লেখ না করলে হয়ত আপ্নেক খুজেও পেতাম না ।
ভাল থাকবেন ।
৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: পুরাই প্রেমে পড়ে গেছি !!! পাব্লিকের সামনে ইতা কি কন!
কাল্পনিক ভালবাসার কৃতজ্ঞ আমিও।
আপনাকেও অনুসরনে রাখলাম। ভাল থাকবেন!
৫০| ০৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
গ্য।গটেম্প বলেছেন: অনেক ভাল হয়েছে
০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রশংসার জন্য।
৫১| ২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
আমি ইহতিব বলেছেন: এই লেখাটা গতকাল সন্ধায় বাসায় গিয়ে পড়েছি, মন্তব্য করা হয়নি। মেয়ের কারনে পুরোটা লেখা একবারে পড়তে পারিনি, বারবার ব্যাঘাত ঘটছিলো, তবুও ধৈর্য্য ধরে লেখাটা একসময় শেষ করেছি। সাইন্স ফিকশন গল্পের ক্ষেত্রে আমার প্রথম পছন্দ জাফর স্যারের লেখা, আর এখন থেকে আপনার লেখাকে অবশ্যই দ্বীতিয় স্থানে রাখছি। অনেকদিন পর মজা করে সা. ফি. গল্প পড়লাম।
২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: মজার কথা শোনেন, এই পোস্টে মন্তব্য ৯৯ এ এসে আটকে গেল, আর মন্তব্য পড়েনা! আমি বসে বসে শুধু ভাবতাম! ইস! যদি আর দু একজন একটু কষ্ট করে একটা মন্তব্য করত তাহলে ১০০ মন্তব্য ক্রস করত! আমার কোনও পোস্টে ১০০ মন্তব্য ছিলনা। নার্ভাস নাইনটি তে গিয়ে সবসময় আটকে যায়! আপনার মন্তব্য দিয়ে ১০০ মন্তব্য পুরা হল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জাফর স্যার আমারও খুব প্রিয় একজন লেখক। এখন অবশ্য স্যারের লেখা আর ভাল লাগেনা। নিজের সবচেয়ে ভাল উপন্যাস গুলো বোধহয় স্যার লিখে ফেলেছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি স্যারের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে লিখতে, অনুকরন আমার পছন্দ নয়। স্যারের পর আমাকে দ্বিতীয় স্থানে রেখেছেন দেখে লজ্জা পাচ্ছি। স্যারের সাথে আমার তুলনা চলেনা। তিনি লেখক হিসেবে আমার চেয়ে অনেক ঊর্ধ্বে, মানুষ হিসেবেও।
আপনার মন্তব্য আমাকে আপ্লুত করেছে, নিরন্তন শুভকামনা আপনার জন্য।
৫২| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: নাজিম ভাই, ছোট গল্প গুলান নিয়ে একটা বই বের করেন না!
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। এই চিন্তাটা আপনার আগেই কয়েকজন ব্লগার আমার মাথায় ঢুকায় দিয়েছে। কিছু গল্প সাথে নিয়ে প্রকাশকদের দ্বারে দ্বারে ঘোরা শুরু করে দেব ভাবছি।
৫৩| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
আজমান আন্দালিব বলেছেন: Wow...++++
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ আন্দালিব ভাই।
৫৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩২
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: নাজিম ভাই, অনেক দিন পরে সাইফাই গল্প পড়লাম এবং ভালো পাইলাম।
এন্ডিং প্রেডিক্টেবল ছিলো।
গাণিতিক ব্যখ্যা ভালো লেগেছে।
আমার প্রথম প্রেমের নাম ছিলো গণিত।
প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে সেই প্রেমের মৃত্যু হয়েছে।
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: এন্ডিং কোন অর্থে প্রেডিক্টেবল ছিলো বিস্তারিত বললে ভাল করতি। ডক্টর ইকবাল মাহমুদ গল্পের শেষে ব্রিজ খোঁজা ধরবে এটা হয়ত কিছুটা আচ করা যায় কিন্তু অন্য ওয়ার্ল্ডের ডক্টর স্পেন্সার ব্রিজ রক্ষক, এটা তুই প্রেডিক্ট করতে পেরেছিলি বললে সেটা বিশ্বাস যোগ্য হবেনা মোটেও। আলমগির কবিরের ভাগ্যে কি হবে শেষ পর্যন্ত এটাও আগে প্রেডিক্ট করার কোন ওয়ে ছিলনা। তাইলে তুই প্রেডিক্ট করলি কি?
শিক্ষা ব্যবস্থা আর গণিতপ্রেম একসাথে মেলানোর কোন কারন দেখছি না। আমি বলব সত্যিকারের প্রেম ছিলনা তোর। হয়ত সাময়িক ভাললাগা যা সময়ের সাথে মিলিয়ে গেছে। তা নাহলে শিক্ষা ব্যবস্থার দোহাই দিয়ে গনিত থেকে দূরে সরে থাকতে পারতি না।
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: তোর কমেন্টের উত্তরে কিছু রুড কথা বলে ফেলেছি রে। অন্য একটা কারনে সে সময় মনটা বিক্ষিপ্ত ছিল। রাগটা তোর উপর দিয়ে কিছু গেছে। নিজ গুনে ক্ষমা করে দিস!
৫৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫২
অশান্ত পৃথিবী বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার গল্পটা পড়ে । এক কথায় অসাধারণ।
অনুসরন করলাম
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনুসরনে নেয়ার জন্য। ভাল থাকুন।
৫৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৫
তাসজিদ বলেছেন: কিছু, বলার নেই। marvelous.
I am totally speechless. পরবর্তী গল্পের অপেক্ষায়............।।
২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: গল্প আইতে মেলা দেরি আছে! আপনাকে ধন্যবাদ তাসজিদ ভাই।
৫৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
শান্তির দেবদূত বলেছেন: এখন পর্যন্ত আপনার যতগুলো গল্প পড়েছি এটা বেস্ট। দেখি পরের গল্পে নিজেকেও ছাড়িয়ে নিতে পারেন কিনা।
চমৎকার কাহিনী বিন্যাস, টানটান উত্তেজনা ছিল পুরো গল্প জুড়েই, লেখার স্টাইল যথারীতি দূর্দান্ত ও সাবলিল।
সব মিলিয়ে আমার রেটিং ৯/১০,
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
এটা এখন পর্যন্ত আমার লেখা গল্পের মাঝে ২য়। প্রথমটা হল প্রতিশোধ। এইটা আমার মত। তবে নেক্সট গল্পটা সব ছাড়িয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
রেটিং ৯/১০, :#> আমি তো শরমে মইরা যাব!!
ভাল থাকুন ভাই।
৫৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: দারুন !! অসাধারণ গল্প। আপনার গল্পটাও একনিঃশ্বাসে পড়লাম। ++++
"The Fringe" নামে একটা সিরিয়াল দেখেছিলাম। একজন বিজ্ঞানী এবং আরেকটা প্যারালাল ইউনিভার্সে থাকা তারই প্রতিরুপের মাঝে তাদের সন্তান নিয়ে চলা বিরোধকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কাহিনীটা। আর ব্রিজের কনসেপ্টটা ভালো লাগল। "Thor" মুভিতে এমনই একটা ব্রীজের কথা উঠে এসেছে।কিন্তু সেখানে ব্রীজটা ছিলো অনেকটা মিথলজিকাল আর এখানে ব্রীজের গাণিতিক ব্যাখ্যা আছে!
গল্পের মত করে শুধু গণিত নিয়ে যদি পরে থাকা যেত!!
১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আহা! এই গল্পের পেইজে অনেক দিন আসিনা। দেখিনি কখনও আপনার কমেন্টটা। মাফ করবেন ভাই, রিপ্লাই দিতে দেরি হওয়ায় অনেক দুঃখিত।
ভাল থাকুন।
৫৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩৮
আম্মানসুরা বলেছেন: চমৎকার!
১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ধন্যবাদ অশেষ
৬০| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৯
ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন:
১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হাসেন কেনু??
৬১| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
অসাধারন!!!
++
১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ধন্যবাদ।
৬২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৩
মু.ই.মা ইমন বলেছেন: নাজিম ভাইয়ের সবচেয়ে বেস্ট গল্প এটা - যে কয়টা পড়েছি !! কোন কথা হবে না - জাস্ট ফ্যান্টাস্টিক !!!
ভাই ক্যামনে পারেন ?
৬৩| ২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:২৮
ব্লগার রানা বলেছেন: এতো ভাল কেন?
৬৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:২৭
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: অনেক দিন থেকেই এই গল্পটি পড়তে চাচ্ছিলাম। অনেক জায়গায় ব্রীজরক্ষকের প্রশংসা শুনছি। আজকে পড়ে বুঝলাম কেন! অনবদ্য গল্প। বেশ কয়েকবার নড়ে চড়ে বসতে হয়েছে। গণিতের প্রতি একটি ভালোলাগা আর উৎকণ্ঠা সবসময়ই কাজ করে। লজিক নিয়ে গবেষণা আর সমাধান খুজার চেষ্টায় পড়ে থাকা একটা নেশা। একটা মজার ব্যাপার কি জানেন? আমার আগে থেকেই মনে হত শুন্যের অসংগায়িতত্ব আর পাইয়ের মানের কোথাও একটা যোগসূত্র আছে। এখন আরও জোরালো ভাবে মনে হচ্ছে। আবার আমার কাছে শূন্যকে প্যরালাল ইউনিভার্স বা অন্য ডাইমেনশনে পৌছানোর পথ মনে হয়। মনে হয় যদি এই ভাগফল সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব হয় তবে আমরা পোর্টাল, ট্যালিপোর্টেশনের মত ফিকশন গুলো সত্যি করতে পারবো। ট্যালি পোর্টেশন অবশ্য এখন ফিকশন না, সত্য। 2010 সালেই প্রথমবার সফল হয়। যদিও কেবল এটি অণুকে এক মিটার দূরত্বে ট্যালিপোর্ট করা গিয়েছিল তখন। যাই হোক, ব্রীজের মান পাই হওয়াটা সব থেকে বড় টুইস্ট ছিল আমার কাছে। অন্য কিছু বললে হয়তো এখনও কতটা লজিক্যাল এটাই ভাবতে থাকতাম।
৬৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:২৭
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: অনেক দিন থেকেই এই গল্পটি পড়তে চাচ্ছিলাম। অনেক জায়গায় ব্রীজরক্ষকের প্রশংসা শুনছি। আজকে পড়ে বুঝলাম কেন! অনবদ্য গল্প। বেশ কয়েকবার নড়ে চড়ে বসতে হয়েছে। গণিতের প্রতি একটি ভালোলাগা আর উৎকণ্ঠা সবসময়ই কাজ করে। লজিক নিয়ে গবেষণা আর সমাধান খুজার চেষ্টায় পড়ে থাকা একটা নেশা। একটা মজার ব্যাপার কি জানেন? আমার আগে থেকেই মনে হত শুন্যের অসংগায়িতত্ব আর পাইয়ের মানের কোথাও একটা যোগসূত্র আছে। এখন আরও জোরালো ভাবে মনে হচ্ছে। আবার আমার কাছে শূন্যকে প্যরালাল ইউনিভার্স বা অন্য ডাইমেনশনে পৌছানোর পথ মনে হয়। মনে হয় যদি এই ভাগফল সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব হয় তবে আমরা পোর্টাল, ট্যালিপোর্টেশনের মত ফিকশন গুলো সত্যি করতে পারবো। ট্যালি পোর্টেশন অবশ্য এখন ফিকশন না, সত্য। 2010 সালেই প্রথমবার সফল হয়। যদিও কেবল এটি অণুকে এক মিটার দূরত্বে ট্যালিপোর্ট করা গিয়েছিল তখন। যাই হোক, ব্রীজের মান পাই হওয়াটা সব থেকে বড় টুইস্ট ছিল আমার কাছে। অন্য কিছু বললে হয়তো এখনও কতটা লজিক্যাল এটাই ভাবতে থাকতাম।
৬৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৮
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ফেবুতে লিংক পেয়ে পড়তে আসলাম। এক টানে পড়েও ফেললাম। তারপর তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললাম। উপরে সবাই আপনার যথেষ্ট প্রশংসা করেছে। যথার্থই করেছে। তাই আমি আর নূতন কিছু যোগ করছি না।
Step 1: 4x+2x-2 = 3x+4x+12-14
প্রথম প্রবলেম এর সল্যুশনের স্টেপ ওয়ানে একটা টাইপো আছে। সমান চিহ্নের বাম দিকের 2x এর জায়গায় 3x হবে মনে হয়।
৬৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: চমৎকারের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে সকাল----মুগ্ধ আমি
৬৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৪
কয়েস সামী বলেছেন: ফেবুতে মাহমুদ ভাইয়ের লিংক ধরে এসে গল্পটা পড়লাম। এটা আগে কিভাবে চোখ এড়িয়ে গেল সেটাই বুঝলাম না। বেশ লাগল।
৬৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৭
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: ++++++++++++
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
গনিত এবং বিজ্ঞানকে পাশাপাশি বসিয়ে যোগসূত্র স্থাপনের চেষ্টা নিঃসন্দেহে একটা দুঃসাহসিক কাজ। বিশেষ করে এই কাজটা যখন এমন একজন করে যে না গনিতের ছাত্র, না বিজ্ঞানের! The Secret Number ছবিটা দেখার পর প্রথম গল্পের আইডিয়াটা মাথায় আসল। তারপর মেতে উঠলাম পড়াশোনায়। নেট ঘেঁটে ঘেঁটে অসংখ্য ম্যাথ রিলেটেড প্রবলেম তুলে আনলাম। দার করালার কিছু লজিকাল ব্যাক্ষা। সাই ফাই রিলেটেড কিছু জ্ঞান তো আগেই ছিল, তার সাথে আরও কিছু তথ্য যোগাড় করলাম। গল্পের আড়ালে যত তথ্য প্রদান করেছি, তা পুরোপুরি সঠিক। এই প্রথম এত পড়াশুনা করে একটা গল্প দাড় করিয়েছি। আর অন্যান্য গল্পের মত টুইস্ট, রহস্য, দর্শন, থ্রিলও রেখেছি। আশা করি ভাল লাগবে সবার।