ঢাকা, রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪
৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১২ সফর ১৪৪৬

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে জড়িত হাসিনা-তাপস-সেলিম : রাকিন আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে জড়িত হাসিনা-তাপস-সেলিম : রাকিন আহমেদ
ছবি : কালের কণ্ঠ

রাজধানীর পিলখানায় ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আগের তদন্ত প্রতিবেদনগুলো প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। সেই সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের রায় অনুযায়ী তদন্ত কমিশন করে পর্দার আড়ালে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের বের করে আনার দাবিও জানিয়েছেন তারা। 

শনিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত পিলখানায় ৫৭ অফিসার ও ১৭ সিভিলিয়ান হত্যার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে মোট সাত দফা দাবি জানান তারা। 

বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের পুত্র রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় রাকিন আহমেদের মা নাজনীন আহমেদকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। 

১৫ বছর আগের পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ সেলিমসহ অনেকে সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেন রাকিন আহমেদ। 

তিনি বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত শেখ হাসিনা, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ সেলিম (শেখ ফজলুল করিম সেলিম)। আর তাদের অনেক লোক আছে, যারা জড়িত।

আমি ক্ষমা চেয়ে নিলাম। আমি বলে দিলাম। এটা সত্য। আর নাটক সাজানো, রহস্য আমরা চাই না।
পৃথিবীর ইতিহাসে আমার মনে হয় না কোনো ইভেন্ট (ঘটনা) হয়েছে, যেখানে সিটিং প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) একটা বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে রাজধানীর বুকে ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করে। এই কারণে (২৫ ফেব্রুয়ারিকে) আমরা শহীদ সেনা দিবস দাবি করছি।’ 

১৫ বছর ধরে চলা তদন্ত ও বিচারকাজ সম্পর্কে রাকিন আহমেদ বলেন, ‘১৫ বছরের তদন্ত আমরা মানি না। কারণ প্রধান হত্যাকারী যে নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি তখন ক্ষমতায়, গণভবনে। খুনি কি আর নিজের বিচার করবে? মুখ বন্ধ করে দেখতে হয়েছে, কেমন করে তদন্ত ম্যানিপুলেট (প্রভাবিত) করল, ডাল-ভাতের (অপারেশন ডাল-ভাত) কথা বলল।

নীরবতায় সহ্য করতে হয়েছে।’ 

তবে এর আগে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত কর্নেল কুদরত ইলাহীর পুত্র অ্যাডভোকেট সাকিব রহমানের কাছে এ প্রসঙ্গে (হত্যাকাণ্ডের জন্য কাউকে দায়ী করছেন) গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একজন আইনজীবী হিসেবে আমি কাউকে আসলে দায়ী করতে পারি না যতক্ষণ না পর্যন্ত তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। অনেক নাম আমরা শুনি, আপনারাও শোনেন। তদন্তের মাধ্যমে যখন সেই নামগুলো বেরিয়ে আসবে তখনই আমরা বলতে পারব।’ 

তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশের দাবি জানিয়ে সাকিব রহমান আরো বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি হয়েছিল। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম (সাবেক বিডিআর প্রধান), যিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন। যদি এই পূর্ণাঙ্গ ও আসল প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় তাহলে অনেক কিছু জানা যাবে। একইভাবে হাইকোর্ট ডিভিশন যে ইনকোয়ারি কমিশনের কথা বলেছেন, তা বাস্তবায়ন করতে পারলে পর্দার আড়ালের ষড়যন্ত্রকারীদের বের করে আনা যাবে।’ 

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা ‘বিডিআর বিদ্রোহ’ না বলে এটিকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘শহীদ পরিবারগুলো এই ঘটনাকে কখনো বিদ্রোহ বলে না। যখন একটি বিদ্রোহ হয়, তার একটা আদর্শিক দিক থাকে। এই ঘটনার কোনো আদর্শ ছিল না। ফলে এটি বিদ্রোহ নয়, হত্যাকাণ্ড।’ 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নিহত পরিবারের সদস্যরা আরো বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিল। হত্যাকাণ্ডটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্যই অপারেশন ডাল-ভাত নিয়ে দ্বন্দ্বের কথা প্রচার করা হয়েছে। 

শহীদ পরিবারের সাত দাবি

সংবাদ সম্মেলনে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো আগের তদন্তের প্রতিবেদনগুলো প্রকাশ করা, হাইকোর্ট ডিভিশনের রায় অনুযায়ী ইনকোয়ারি (তদন্ত) কমিশন করা, অফিশিয়াল গ্যাজেট (প্রজ্ঞাপন) করে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা এবং নিহতদের শহীদের মর্যাদা দেওয়া, ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, পিলখানা ট্র্যাজেডিকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা, এ ঘটনায় চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তাদের চাকরি ফেরত অথবা ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং নির্দোষ কোনো বিডিআর জওয়ানকে সাজা না দেওয়া। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যেসব পণ্যের দাম কমবে প্রথম ধাপে, জানালেন প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যেসব পণ্যের দাম কমবে প্রথম ধাপে, জানালেন প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়ার পরই পণ্যের দাম কমানোর দিকে নজর দিয়েছেন ফরিদা আখতার। তবে একবারেই সব পণ্যের দাম কমানো সম্ভব না। সে ক্ষেত্রে শুরুতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের দাম কমানোর। এ জন্য উৎপাদন খরচ কমানোর দিকেও নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফরিদা আখতার।

আজ রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, ‘এসব পণ্যের দাম কীভাবে কমানো যায়, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে বাণিজ্যসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, উৎপাদকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এ ছাড়া উৎপাদন খরচ কমানোর দিকেও কাজ করা যেতে পারে।

এদিকে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে বাজার সিন্ডিকেট, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য উৎপাদন নিরাপদ রাখা, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং তাদের ১০ দিনের মধ্যে কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে। এ বিষয় নিয়েও কথা  বলেছেন প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা। 

ফরিদা আখতার বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের প্রস্তাবনায় আমরা খুশি। কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব প্রকাশের বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের দাবির বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে তুলব।

উপদেষ্টা পরিষদে সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেটাই করা হবে।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পালিয়ে বেড়াচ্ছি, আমার ছবি কম প্রচার করুন : তথ্য উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পালিয়ে বেড়াচ্ছি, আমার ছবি কম প্রচার করুন : তথ্য উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, কয়েক দিন থেকে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, কোনো স্পেসিফিক কারণ ছাড়া আমার ছবি যত কম প্রচার করা যায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।

আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর সচিবালয়ে প্রথম অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নিরপেক্ষ সংবাদ এবং স্বাধীন গণমাধ্যম নিয়ে আমাদের খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।

কারণ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে গণতন্ত্রের অন্যতম একটি পিলার বলা যায়। কাজেই আমরা যদি গণতন্ত্র চাই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানুষের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’

স্বাধীন গণমাধ্যমের উদ্যোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে কী ধরনের বাধা রয়েছে কিংবা এর সমাধান নিয়ে গণমাধ্যমের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেই মূলত আমরা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করব। যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে আমরা সেন্সর বোর্ডকে পুনর্গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করব।

মন্তব্য

মেট্রোরেল কবে চালু? জানালেন সড়ক উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মেট্রোরেল কবে চালু? জানালেন সড়ক উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

সাতদিনের মধ্যেই মেট্রোরেল চালুর চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুসহ আরো ২ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।  

তিনি বলেন, স্টাফদের দাবি আছে। আগামীকাল মেট্রোর বোর্ড মিটিং।

বোর্ডের সদস্য না থাকা, বোর্ডের সভা না হওয়ার জন্য মেট্রো চালু করা যায়নি। সরকার পরিবর্তনজনিত প্রশাসনিক শূন্যতা পূরণ হয়েছে। সর্বোচ্চ সাতদিনের মধ্যে মেট্রো চালু হবে। 

সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ব্যয় সংকোচন করতে হবে।

সরকার আয় করতে পারেনি তাই। সড়কের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা ঠিক করা হবে। এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছি। সড়ক জনপথের যেসব প্রতিষ্ঠানে আগুন বা ভাঙচুর হয়েছে, সেগুলো সংস্কার হচ্ছে।
আগের মতো সিঙ্গেল সোর্স প্রকিউরমেন্ট হবে না। এছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও সেতুভবনের দুটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত। দ্রুত এফডিসি র‍্যাম্প চালু করার নির্দেশ দিয়েছি। বড় প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনের সিদ্ধান্ত। আমার প্রকল্প নেব।
সারা দেশের হিসাব করে। সারা দেশে কাজ হবে। 

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, চেনা মুখে ঠিকাদারি হবে না। সবার অংশগ্রহণ থাকতে হবে। ই-টেন্ডারিং দিয়ে ধোঁকা দিয়েছে। ধোঁকাবাজির দিন শেষ। রিয়েল ইন্ডিকেটর জানাব। সড়কে কোথায় যেতে কত সময় লাগবে। ঢাকার প্রধান সড়কে গাড়ি থামার জায়গা করতে হবে। জায়গায় জায়গায় গাড়ি না থামে। এখন মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ভিন্ন। মানুষের কী উপকার হলো।  

সড়ক উপদেষ্টা বলেন, সবার জন্য সরকার। শুধু ঢাকা বা বড় শহরগুলো নয়, পুরো দেশের সড়ক ঠিক করতে হবে। মানুষের চলাচলের চাপ বিবেচনায়। দেশের সড়ক নির্মাণ ব্যয় বিশ্বে প্রথম। এই অপবাদ দূর করতে হবে। নিম্নমানের সড়কের কাজ গ্রহণ করা হবে না। আমরা কম করবো না। আমরা বেশি করব। না হলে প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। আমাদের প্রিফারেবল কেউ নাই। সক্ষম লোক আমাদের কাজ করবে।  

সড়ক ও যোগাযোগ উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর এখনকারটাও জনপ্রত্যাশার সরকার। সাংবাদিক রোজিনার মত বিষয় হবে না। আমরা আইনের মধ্যে থেকে সাংবাদিকদের সার্বিক সহায়তা হবে।

যানবাহনে সড়কে চাঁদাবাজি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রের কাছে জিজ্ঞাসা করুন। সড়ক যোগাযোগ রেগুলেটরি মিনিস্ট্রি। চাঁদা সংক্রান্ত ইস্যু স্বরাষ্ট্রের বিষয়। তবে চাঁদা কালেক্ট হয়। যায় কোথায়? আমরা চাঁদার রিসিপিয়েন্ট হবো না। সড়কের কেউ চাঁদাবাজিতে জড়িত হলে ব্যবস্থা।  

বিআরটিএ’র অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বিআরটিএতে ভিন্ন পরিবেশ তৈরি করব। জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে হবে বিআরটিএকে। তিনদিনের বেশি লাইসেন্স প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে না। অনলাইনের অযুহাত দেখানো যাবে না।

মন্তব্য

৬ বছর পর দেশে ফিরলেন শফিক রেহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
৬ বছর পর দেশে ফিরলেন শফিক রেহমান
সংগৃহীত ছবি

দীর্ঘ ছয় বছর পর দেশে ফিরেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমান। শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমানও তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন। 

আজ রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। এসময় বিমানবন্দরে তাদের করতালি ও ফুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সাংবাদিক এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সাংবাদিক শফিক রেহমান আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৮ সালে দেশ ছাড়েন। দীর্ঘ ৬ বছর পর দেশে ফিরলেন তিনি। 

শফিক রেহমান বলেন, ‘দেশে ফিরে শেখ হাসিনাকে খুব অনুভব করছি। আমি তার মৃত্যুদণ্ড চাই না।

মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে। 

তিনি বলেন, ‘আমি একাত্তরে দেশে ফিরতে পারিনি। এবার দেশে ফিরলাম। ব্যক্তি পূজা বন্ধ করুন।

ব্যক্তি পূজা ইসলাম ধর্মের বিরোধী। দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘শহীদ জিয়ার অবদান বলে শেষ করা যাবেনা। এবারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে।’

বিমানবন্দরে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা সাংবাদিক ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিলেন- এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, সরদার ফরিদ আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, আলফাজ আনাম, মাহবুব আলম, শাহীন চৌধুরী, ফেরদৌস মামুন, অধ্যাপক খান মনোয়ারুল ইসলাম, ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ, বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম (সিআইপি), যুবদল নেতা কৃষিবিদ সানোয়ার আলম, ছাত্রদলের সাবেক নেতা জহিরুল ইসলাম বিপ্লব, রাশিদুল ইসলাম রিপন, বিএনপি নেতা আশরাফ শিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাশেদ রহমান, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারিকসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।

 

আরো উপস্থিত ছিলেন শফিক রেহমান প্রত্যাবর্তন কমিটির সজীব ওনাসিস, জাহিদুল ইসলাম রনি, রাজীব আহসান চৌধুরী পাপ্পু, হাসানুর রহমান।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচ জনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর। একইসঙ্গে তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মামলাটিতে ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয় আদালতে সাক্ষ্য দেন।

এর আগে, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। এই মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শফিক রেহমান। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ