শীর্ষ খবর
Shares
facebook sharing button Share
twitter sharing button Tweet
whatsapp sharing button Share
sharethis sharing button Share

‘মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে আবরার হত্যার কোনো সম্পর্ক নেই’

বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার সঙ্গে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কোনো বিরোধ নেই বলে জাতিসংঘকে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
সিসিটিভি ফুটেজে আবরারকে পাঁজাকোলা করে সিঁড়ির দিকে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য

বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার সঙ্গে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কোনো বিরোধ নেই বলে জাতিসংঘকে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পোর সঙ্গে আজ বৈঠকে বসেছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ উইংয়ের মহাপরিচালক নাহিদা সোবহান। আজ রোববার সকাল ১১টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই বৈঠকে আবরার হত্যার প্রসঙ্গ এলে তিনি বলেন যে এর সঙ্গে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই।

বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আবরার হত্যা নিয়ে সরকারের অবস্থান আমরা পরিষ্কার করেছি। এই হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সে সম্পর্কেও তাকে অবহিত করা হয়েছে।

জাতিসংঘ উইংয়ের মহাপরিচালক টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “নিয়মিত বৈঠকের অংশ হিসেবেই আজ জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সঙ্গে আলোচনা হয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে। সেখানে আবরার হত্যার ব্যাপারটিও এসেছিল।

সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলেও যোগ করেন তিনি।

গত রোববার রাতে বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আবরারকে শিবির সন্দেহে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী জিজ্ঞাসাবাদ করে লাঠি ও ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পাদিত সর্বশেষ চুক্তি নিয়ে আবরার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়ার পর এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার তিন দিন পর বুধবার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক নিন্দা প্রকাশ করে বলেন, “মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি মৌলিক অধিকার। এর চর্চার জন্য কাউকে হয়রানি, নির্যাতন ও হত্যা করা উচিত নয়।”

অপরাধ ও বিচার
99 Shares
facebook sharing button Share
twitter sharing button Tweet
whatsapp sharing button Share
sharethis sharing button Share

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবার অপহরণ-গুমের মামলা

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এবং র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। 
আজ সোমবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস

২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীকে গুমের নামে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এবং র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। 

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোহেল রানা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিল সুমু চৌধুরীর আদালতে এই মামলা করেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় এটি দ্বিতীয় মামলা। 

শুনানির পর ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগকারীর বক্তব্য রেকর্ড করেন এবং উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

মামলায় অজ্ঞাত ২০-২৫ জন র‌্যাব সদস্যকেও আসামি করা হয়েছে।

এদিকে, পুলিশের গুলিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার মুদি দোকানি আবু সায়েদ নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। 

এ ছাড়া, মামলার অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন 'আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যবৃন্দ'।

 

রাজনীতি
34 Shares
facebook sharing button Share
twitter sharing button Tweet
whatsapp sharing button Share
sharethis sharing button Share

দেশি-বিদেশি চক্র সংখ্যালঘু নির্যাতনের অলীক কাহিনী প্রচার করছে: মির্জা ফখরুল

৫ আগস্টের পরে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, যার জন্য এখানে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে সে কথা বলা যাবে।
দেশি-বিদেশি চক্র সংখ্যালঘু নির্যাতনের অলীক কাহিনী প্রচার করছে: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

দেশি-বিদেশি চক্র বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অলীক কাহিনী প্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, 'দেশি-বিদেশি চক্র যারা বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়, বাংলাদেশের এই বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে চায়, ছাত্র-জনতার ত্যাগ ধূলিসাৎ করতে চায়, তাদের একটি চক্র অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের একটি অলীক কাহিনী প্রচার করে চলেছে। ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথম যে গোলযোগ হয়েছে, সেটা রাজনৈতিক গোলযোগ। ৫ আগস্ট। কোনো রকম ধর্মীয় না, কোনো রকম সাম্প্রদায়িক না।'

তিনি বলেন, '৫ আগস্টের পরে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, যার জন্য এখানে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে সে কথা বলা যাবে। একটি চক্র এবং পতিত সরকারের লোকেরা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন নাটক সাজিয়ে প্রচার করছে।

'কয়েকদিন আগে বালিয়াডাঙ্গিতে মানুষ চলে যাচ্ছে বলে প্রায় ৩০০-৪০০ জনকে জড়ো করেছে। আমি খুব ভালো করে খোঁজ নিয়েছি প্রশাসন-গোয়েন্দাদের কাছ থেকে। তারা বলেছেন, এটা সাজানো নাটক। কারণ ওই লোকগুলো সব খালি হাতে ছিল। তাদের স্ত্রী, পুত্র-কন্যা কেউ নেই, ব্যাগও সঙ্গে নেই। তারা বলছে আমরা চলে যাচ্ছি; একটা নাটক করে ওই পারে ধারণা দেওয়া, আমরা এখানে নির্যাতিত হচ্ছি। সুতরাং আমরা এই দেশে থাকব না। এই যে ধোঁয়া তোলা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণভাবে সাজানো নাটক,' বলেন তিনি।

দুএকটা জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতে পারে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আপনারা দেখেছেন, আমাদের দল এই ঘটনাগুলো প্রতিরোধ করার জন্য সব জেলায় ছুটে বেড়িয়েছে। এখনো তারা সেই কাজ করছে। আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে, যদি প্রমাণ করা যায় এখানে আমাদের দলের কোনো লোক জড়িত আছে—আমি ডিসি-এসপি সাহেবকে বলেছি, আপনারা সব ব্যবস্থা নেবেন। আমাদের দলের পক্ষ থেকে আমরা নিশ্চিত করছি, আমরা তাকে সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার করব।'

আন্তর্জাতিক
51 Shares
facebook sharing button Share
twitter sharing button Tweet
whatsapp sharing button Share
sharethis sharing button Share

নিউজিল্যান্ডে ক্রিস্টাল মেথ মেশানো চকলেট পাওয়া ৪০০ জনকে খুঁজছে পুলিশ

পুলিশ জানিয়েছে, চকলেটগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মেথ পাওয়া গেছে।
আনারসের স্বাদযুক্ত রিন্ডা চকলেট। ফাইল ছবি: এএফপি
আনারসের স্বাদযুক্ত রিন্ডা চকলেট। ফাইল ছবি: এএফপি

নিউজিল্যান্ডে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান আনারসের স্বাদযুক্ত চকলেট বিনামূল্যে বিতরণ করেছিল। কিন্তু এই চকলেটে নিষিদ্ধ মাদক মেথামফেটামিন (ক্রিস্টাল মেথ বা শুধু মেথ নামেও পরিচিত) মেশানো ছিল। 

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

পুলিশ জানিয়েছে, চকলেটগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মেথ পাওয়া গেছে।

ইতোমধ্যে এক শিশু, এক তরুণ ও ওপর এক দাতব্য কর্মী মাদক মেশানো চকলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

তারা কেউ গুরুতরভাবে অসুস্থ না হলেও পুলিশ ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ফৌজদারি তদন্ত প্রক্রিয়া চালু করেছে। পুলিশ এখন বাকি ৪০০ জনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে, যারা এই চকলেটটি পেয়েছেন।

গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক গ্লেন বল্ডউইন বলেন, 'খুব দ্রুত সবাইকে খুঁজে বের করতে হবে।'

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ১৬টি চকলেট খুঁজে পাওয়া গেছে।

পুলিশ মনে করছে, হলুদ রঙের 'রিনডা' চকলেটের প্যাকেটের ভেতর এই মাদক লুকিয়ে রেখেছিল কোনো মাদক ব্যবসায়ী।

তারপর সেগুলোকে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য নিবেদিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান অকল্যান্ড সিটি মিশনের কাছে কেউ দান করে দেয়। তারা এ বিষয়ে কিছু না জেনে-বুঝে চকলেটগুলো একটি ফুড ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করে।

বল্ডউইন বলেন, 'মাদক পাচার একটি জটিল বিষয় এবং সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রগুলো প্রায়ই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার চোখে ধুলো দিতে নানা অভিনব পন্থায় এগুলো পাচারের চেষ্টা চালায়। শুধু নিউজিল্যান্ড নয়, সারা বিশ্বেই এমনটা দেখা যায়।'

বল্ডউইন জানান, এক শিশু ও এক তরুণ চকলেট মুখে দেওয়ার পর সেটা গিলে না ফেলে উগড়ে দেয়। তারপর অসুস্থতার জন্য তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

'তারা দুইজনই এখন ভালো আছে', যোগ করেন তিনি।

দাতব্য সংস্থার এক কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার মাঝে মেথ গ্রহণের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল।

নিউজিল্যান্ড ড্রাগ ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, উজ্জ্বল হলুদ রঙের মোড়কে মোড়ানো সাদা চকলেটটি আপাত:দৃষ্টিতে নিরীহ মনে হলেও পরীক্ষা করে এতে মেথামফেটামিন পাওয়া গেছে।

ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র সারাহ হেল্ম জানান, পরীক্ষায় এই চকলেটে ৩ গ্রাম মেথ পাওয়া গেছে। মাদকাসক্তরা সাধারণ এক ডোজে এর শতভাগেরও কম মেথ নিয়ে থাকেন।

'এই পরিমাণ মেথ হজমে গুরুতর অসুস্থতা, এমন কী মৃত্যুও হতে পারে', যোগ করেন তিনি।

তিনি সবাইকে অকল্যান্ড চ্যারিটির কাছ থেকে পাওয়া কোনো মিষ্টিজাতীয় দ্রব্য না খাওয়ার আর্জি জানান।

'আমরা জানিনা এটি কতখানি ছড়িয়ে পড়েছে', যোগ করেন সারাহ।

ক্রিস্টাল মেথ। ফাইল ছবি: এএফপি
ক্রিস্টাল মেথ। ফাইল ছবি: এএফপি

মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠান রিন্ডা ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ জানিয়েছে, তাদের ব্র্যান্ডের 'অপব্যবহার' হয়েছে এবং তারা তাদের 'কোনো পণ্য তৈরিতে অবৈধ মাদক ব্যবহার করে না'।

রিন্ডা জানিয়েছে, 'আমাদের প্রতিষ্ঠান নীতিমালা ও নিরাপত্তা মানদণ্ড বজায় রেখে পণ্য প্রস্তুত করে।'

অকল্যান্ড সিটি মিশনের হেলেন রবিনসন জানান, তার দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এই দু:সংবাদে 'মর্মাহত'।

তিনি জানান, খুব সম্ভবত ৪০০ মানুষ এই চকলেট পেয়েছেন। মাদক মেশানো চকলেটের 'স্বাদ তিক্ত ও কটু।'

'জিহ্বার সঙ্গে সামান্য ছোঁয়া লাগলেও আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন', যোগ করেন তিনি।

মেথ সেবনে বুকে ব্যথা, হৃদকম্পন বেড়ে যাওয়া, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে বলে ড্রাগ ফাউন্ডেশন হুশিয়ারি দিয়েছে।

সারাহ রেডিও নিউজিল্যান্ডকে জানান, মাদক ব্যবসায়ীরা প্রায়ই খাবারের মাঝে অবৈধ মাদক লুকিয়ে রাখেন।

'কেউ স্বেচ্ছায় শিশুদের বিষ খাওয়াতে চাইছিল বলে আমরা মনে করি না', যোগ করেন তিনি।

অর্থনীতি
84 Shares
facebook sharing button Share
twitter sharing button Tweet
whatsapp sharing button Share
sharethis sharing button Share

৫-৬ মাসে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসবে: গভর্নর

রিজার্ভ নিয়ে গভর্নর বলেন, আমাদের রিজার্ভের সংকট আছে। রিজার্ভ সংকট রাতারাতি যাবে না।
আহসান এইচ মনসুর, বাংলাদেশ ব্যাংক,
আহসান এইচ মনসুর। ফাইল ফটো

বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আগামী পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে এক পর্যালোচনা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাজারে তিনটা অ্যাঙ্গেলে কাজ করার সম্ভাবনা আছে। একটি হলো সরবরাহ ব্যবস্থা। অর্থাৎ কীভাবে উৎপাদন বাড়িয়ে আমরা সরবরাহ বাড়াতে পারি এবং তার মাধ্যমে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব আনা। দ্বিতীয়ত চাঁদাবাজির মতো কিছু বিষয় উঠে এসেছে। এই জায়গাগুলোতে কাজ করতে হবে। তৃতীয়ত চাহিদার দিক নিয়ে কাজ করা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এই কাজটা করছে এবং আমরা আরেকটু পর্যালোচনা করে দেখব আরও কিছু করার আছে কি না।

তিনি আরও বলেন, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি আছে, এটা অস্বীকার করে লাভ নেই। এজন্য আমরা যতটুকু আমদানি করতে পারতাম, ততটুকু পারছি না। সেটার একটা প্রভাব তো বাজারে থাকবেই।

তার ভাষ্য, এসব বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে সবগুলো যখন ধীরে ধীরে সহজ হয়ে আসবে- বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি কমবে, চাঁদাবাজি কমিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে, যদি উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়- তাহলে ধীরে ধীরে পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতিকে আমরা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারবে। এটাই আমরা আশা করছি। এজন্য আমাদের কাজ করতে হবে, সময় দিতে হবে।

রিজার্ভ নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের রিজার্ভের সংকট আছে। রিজার্ভ সংকট রাতারাতি যাবে না— আমাদের হিসাব করতে হবে বাজারে কতটুকু সরবরাহ দিতে পারি। তবে যেটুকু মিনিমাম তা রাখতে হবে, অযৌক্তিক লেভেলে কমিয়ে দেওয়া যাবে না। তাহলে বাজারে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দেবে। সেটাকে রেখে আমদানিতে কোথায় কতটুকু ডলার দেওয়া যায়, তা দেখতে হবে।

এটা সংকীর্ণ পথ, তবে খুব সাবধানে হাঁটতে হবে। আমরা উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও আলাপ করব, বলেন তিনি।

এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অগ্রাধিকার হবে দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা।