হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ
সারা দেশে হিন্দুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে জেলা ও মহানগর হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যেগে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করা হয়।

সারা দেশে হিন্দুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে জেলা ও মহানগর হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যেগে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করা হয়।
Since the fall of the Awami League government on August 5, Sajeeb Wazed Joy, former prime minister Sheikh Hasina's son, has been regularly appearing for interviews in foreign media outlets, especially in India. .In the nine days between the fall of Hasina and August 13, Joy has spoken to B


দেশি-বিদেশি চক্র বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অলীক কাহিনী প্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, 'দেশি-বিদেশি চক্র যারা বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়, বাংলাদেশের এই বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে চায়, ছাত্র-জনতার ত্যাগ ধূলিসাৎ করতে চায়, তাদের একটি চক্র অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের একটি অলীক কাহিনী প্রচার করে চলেছে। ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথম যে গোলযোগ হয়েছে, সেটা রাজনৈতিক গোলযোগ। ৫ আগস্ট। কোনো রকম ধর্মীয় না, কোনো রকম সাম্প্রদায়িক না।'
তিনি বলেন, '৫ আগস্টের পরে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, যার জন্য এখানে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে সে কথা বলা যাবে। একটি চক্র এবং পতিত সরকারের লোকেরা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন নাটক সাজিয়ে প্রচার করছে।
'কয়েকদিন আগে বালিয়াডাঙ্গিতে মানুষ চলে যাচ্ছে বলে প্রায় ৩০০-৪০০ জনকে জড়ো করেছে। আমি খুব ভালো করে খোঁজ নিয়েছি প্রশাসন-গোয়েন্দাদের কাছ থেকে। তারা বলেছেন, এটা সাজানো নাটক। কারণ ওই লোকগুলো সব খালি হাতে ছিল। তাদের স্ত্রী, পুত্র-কন্যা কেউ নেই, ব্যাগও সঙ্গে নেই। তারা বলছে আমরা চলে যাচ্ছি; একটা নাটক করে ওই পারে ধারণা দেওয়া, আমরা এখানে নির্যাতিত হচ্ছি। সুতরাং আমরা এই দেশে থাকব না। এই যে ধোঁয়া তোলা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণভাবে সাজানো নাটক,' বলেন তিনি।
দুএকটা জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতে পারে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আপনারা দেখেছেন, আমাদের দল এই ঘটনাগুলো প্রতিরোধ করার জন্য সব জেলায় ছুটে বেড়িয়েছে। এখনো তারা সেই কাজ করছে। আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে, যদি প্রমাণ করা যায় এখানে আমাদের দলের কোনো লোক জড়িত আছে—আমি ডিসি-এসপি সাহেবকে বলেছি, আপনারা সব ব্যবস্থা নেবেন। আমাদের দলের পক্ষ থেকে আমরা নিশ্চিত করছি, আমরা তাকে সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার করব।'
Since the fall of the Awami League government on August 5, Sajeeb Wazed Joy, former prime minister Sheikh Hasina's son, has been regularly appearing for interviews in foreign media outlets, especially in India. .In the nine days between the fall of Hasina and August 13, Joy has spoken to B


গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে 'মায়ের ডাক'।
আজ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই আল্টিমেটাম দেন 'মায়ের ডাক'র অন্যতম সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি।
তিনি বলেন, 'আমরা জিয়াউল হাসান ও তারেক সিদ্দিকের মতো কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই, যারা গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমরা সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি।'
একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য প্রকাশ করার দাবিও জানান তিনি।
Since the fall of the Awami League government on August 5, Sajeeb Wazed Joy, former prime minister Sheikh Hasina's son, has been regularly appearing for interviews in foreign media outlets, especially in India. .In the nine days between the fall of Hasina and August 13, Joy has spoken to B


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় বিচারের জন্য ইতোমধ্যে কিছু মামলা হয়েছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব ঘটনার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, 'গণহত্যা ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় বিচারের জন্য ইতোমধ্যে কিছু মামলা হয়েছে। আমরা নিজেরা, রাজপথে থাকা বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, জনগণের বিভিন্ন গোষ্ঠী দাবি করেছেন যে, এটাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিচার করার সুযোগ আছে কি না। আমরা সেটা খতিয়ে দেখেছি।'
তিনি বলেন, '১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন আছে, সেটা পরে ২০০৯ ও ২০১৩ সালে সংশোধনী হয়েছে। সেই আইনে আমরা জুলাই গণহত্যা; আগস্টের প্রথম পাঁচদিনের গণহত্যাও বোঝাচ্ছি। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য ইতোমধ্যে ছোটখাটো গবেষণা করেছি। আমরা দেখেছি, এই আইনের অধীনে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি ও যারা আদেশ দিয়েছেন এবং যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব।'
তিনি আরও বলেন, 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি ইনভেস্টিগেশন টিম আছে, প্রসিকিউশন টিম আছে। এগুলোকে আমরা রিঅর্গানাইজড করার চেষ্টা করছি, আদালতটা একটু পরে করব। ইনভেস্টিগেশন আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে করার চেষ্টা করছি। জাতিসংঘ থেকে বারবার আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিচারের সত্যিকারের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের সর্বাত্মক তত্ত্বাবধানে আমাদের ইনভেস্টিগেশন টিম কাজ করবে। সেটার লক্ষ্যে সব উদ্যোগ গ্রহণ করব।'
'ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে মিটিং করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। সহযোগিতা চাইবো। এ ছাড়া, আমাদের আরও উচ্চ পর্যায় থেকে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সংস্থা আছে, উনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। আশা করছি, দ্রুত এটা শুরু করতে পারব,' বলেন তিনি।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচার করব।'
আসিফ নজরুল বলেন, 'আমরা সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে বিচার বিভাগীয় সব কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশে-বিদেশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব বিবরণী আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।'
গণআন্দোলনে অংশ নেওয়ার ঘটনায় দায়ের মামলা প্রত্যাহার করা হবে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, 'সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের পাসপোর্ট ইতোমধ্যে ফেরত দেওয়া হয়েছে। রোজিনা ইসলাম ও মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে দায়ের মামলা আগামীকালই প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইনশাল্লাহ, আগামীকালের মধ্যে প্রত্যাহার হয়ে যাবে। এই দুটি আলোচিত মিথ্যা মামলা ছিল জন্য উল্লেখ করলাম, আরও অনেক মামলাই প্রত্যাহার করা হবে।'
বিচার বিভাগের সংস্কারের জন্য কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা এমন একজন প্রধান বিচারপতি পেয়েছি, যিনি অক্সফোর্ড থেকে পড়াশোনা করেছে এবং টাফট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছেন। আমরা কোয়ালিটি ও ইনট্রিগিটির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।'
তিনি বলেন, 'অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে সম্পূর্ণ দলীয় ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছিল, তার মধ্যে প্রায় অর্ধেকের মতো কর্মকর্তা ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। সেখানে আমরা বেশ কিছু আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছি। অনেক তাড়াহুড়া করে নিয়োগ দিচ্ছি, তারপরও যতটা স্ক্রুটিনি-কনসালটেশন করা যায়, করছি। দুএকটা ভুল হতে পারে। সেগুলো সংশোধনের সুযোগও থাকবে।'
এই বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে করা হবে কি না জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে বলেন, 'আপনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তখনই যেতে পারবেন, যদি আপনি নিজস্ব অপরাধ আদালতে এটার বিচার করতে অনিচ্ছুক বা অসমর্থ হন। আমরা তো অসমর্থ না।'
তিনি বলেন, 'এই বিচারের আওতায় বিগত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখে বিচার করা সম্ভব বলে আমরা মনে করছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আপনারা জানেন, আমাদের মন্ত্রীরা পুলিশ প্রশাসনকে কীভাবে ব্যবহার করেছেন। আমাদের মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতারা ছাত্র সংগঠন—ছাত্রলীগের মতো ঐতিহ্যবাহী সংগঠন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্যতম ভূমিকা রাখা সংগঠনকে কী ধরনের সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করেছেন। শুধুমাত্র পুলিশ-ছাত্রলীগের অপরাধ দেখলে হবে না, যাদের আদেশ-নির্দেশে তারা করেছেন; সেটা সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিও যদি হয়, সেটাও সেই আইনের আওতায় বিচার করা সম্ভব।'
আসিফ নজরুল বলেন, 'গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হত্যার ঘটনায় মামলা আইসিটিতে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সাবেক সরকার প্রধানসহ অন্য যাদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।'
গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ঢাকার মামলাগুলো বৃহস্পতিবারের মধ্যে এবং সারা দেশে ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে বলেও এ সময় জানান তিনি।
আয়নাঘরে যারা গুমের শিকার হয়েছেন, তাদের আইসিটিতে আসার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্র ও যে কোনো ব্যক্তি মামলা করতে পারে। মানবতাবিরোধী যে অপরাধের যে সংজ্ঞা আছে, সেখানে গুম নামে অপরাধও অন্তর্ভুক্ত। ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করতে পারেন অথবা পরবর্তীতে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমরা উদ্যোগ নিতে পারি। এটা আমরা গুরুত্ব দিয়ে ভাবিনি। আমরা জুলাই হত্যাকাণ্ডের ওপর জোর দিচ্ছি। তবে আমরা খাটো করে দেখছি না, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সহযোগিতা চাইলে আমরা অবশ্যই সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।'
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির একটি বিশেষ আইন আছে, সেটি বাতিল করবেন কি না জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, 'বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় এখনো ড. ইউনূস স্যারের এখতিয়ারাধীন রয়েছে। আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্যারকে এটা বলবো। আমি বিশ্বাস করি, খুব দ্রুত এটা বাতিল করা হবে।'
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'যতগুলো নিবর্তনমূলক আইন আছে, সেটার লিস্ট করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সেকশনগুলো, যেগুলোর মাধ্যমে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হয়েছে। অবশ্য সেটা আমরা বাতিল বা সংশোধন, যেটা প্রয়োজন সেটা করব।'
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে বলেও এ সময় আশ্বাস দেন তিনি।
Since the fall of the Awami League government on August 5, Sajeeb Wazed Joy, former prime minister Sheikh Hasina's son, has been regularly appearing for interviews in foreign media outlets, especially in India. .In the nine days between the fall of Hasina and August 13, Joy has spoken to B
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন যে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন সামলানোর ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে একটি ভিডিও সাক্ষাত্কারে জয় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, সরকারের প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত ছিল।
আজ বুধবার প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সরকারের উচিত ছিল কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা এবং বিষয়টি আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে শুরু থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলা। আমাদের সরকার কোটা কমানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে। আদালত ভুল করেছে এবং আমরা কোটা চাই না বলে সবাইকে আশ্বস্ত করার সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু আমাদের সরকার সেটা শোনেনি এবং বিচার ব্যবস্থার ওপরই বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছে।'
শেখ হাসিনার উপদেষ্টা জয় দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠার পেছনে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হাত ছিল।
তিনি বলেন, 'আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা এর পেছনে জড়িত ছিল। কারণ, ১৫ জুলাই থেকে অনেক আন্দোলনকারীর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। গত ১৫ বছরে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সফলতার কারণে বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া খুবই কঠিন। একমাত্র কোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাই বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার ও আন্দোলনকারীদের কাছে সরবরাহ করতে পারে।'
৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে তার মায়ের চলে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার ঘটনা বর্ণনা করে জয় বলেন, একদিন আগেও তিনি বা শেখ হাসিনা কেউই ভাবেননি যে পরিস্থিতি এত দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
জয় বলেন, 'মায়ের দেশ ছাড়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না। তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছিলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন এবং জনগণের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তায় এই ঘোষণা দেবেন। তিনি বিবৃতির খসড়া তৈরি করেছিলেন এবং সেটি রেকর্ড করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সবকিছু পরিকল্পিত ছিল। তিনি যখন রেকর্ডিং শুরু করতে যান, তখন বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বলেন, "ম্যাম, সময় নেই। আমাদের এখন যেতে হবে।"'
হাসিনা দেশ না ছাড়ার ব্যাপারে অনড় ছিলেন এবং তিনি তাকে রাজি করিয়েছেন দাবি করে জয় বলেন, 'বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী তাকে সামরিক বিমানঘাঁটির মধ্যে একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে একটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত ছিল। কিন্তু তিনি যেতে চাননি। তখনই আমার খালা (শেখ রেহানা) আমাকে ডাকলেন। আমি মাকে বোঝালাম যে তোমার নিরাপত্তার জন্য তোমাকে চলে যেতে হবে। যদি এই জনতা তোমাকে খুঁজে পায়, কোথাও ধরে ফেলে এবং সেখানে গুলি চলে, তাহলে অনেক মানুষ মারা যাবে। হয় তোমাকে এই হত্যার জন্য দায় দেবে কিংবা যদি তোমাকে ধরে ফেলে তাহলে মেরে ফেলবে। তাই সবচেয়ে ভালো হবে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া এবং আমিই তাকে চলে যেতে রাজি করিয়েছি।'
ভারতের প্রতি তার বার্তা কী হবে জানতে চাইলে জয় নয়াদিল্লিকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, 'আমি আশা করব, ভারত নিশ্চিত করবে যে ৯০ দিনের সাংবিধানিক সময়সীমার মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, অরাজকতা বন্ধ হবে এবং আওয়ামী লীগকে প্রচারণা ও পুনর্গঠনের অনুমতি দেওয়া হবে। যদি সেটা নিশ্চিত করা হয়, আমি এখনও নিশ্চিত যে আমরা নির্বাচনে জয়ী হবো। আমরা এখনও সবচেয়ে জনপ্রিয় দল।'
Since the fall of the Awami League government on August 5, Sajeeb Wazed Joy, former prime minister Sheikh Hasina's son, has been regularly appearing for interviews in foreign media outlets, especially in India. .In the nine days between the fall of Hasina and August 13, Joy has spoken to B
Comments