রাজনীতি
998 Shares
facebook sharing button Share
twitter sharing button Tweet
whatsapp sharing button Share
sharethis sharing button Share

ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার আহ্বান জয়ের

‘যদি সেটা নিশ্চিত করা হয়, আমি এখনও নিশ্চিত যে আমরা নির্বাচনে জয়ী হবো। আমরা এখনও সবচেয়ে জনপ্রিয় দল।’
সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন যে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন সামলানোর ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে একটি ভিডিও সাক্ষাত্কারে জয় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, সরকারের প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত ছিল।

আজ বুধবার প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সরকারের উচিত ছিল কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা এবং বিষয়টি আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে শুরু থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলা। আমাদের সরকার কোটা কমানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে। আদালত ভুল করেছে এবং আমরা কোটা চাই না বলে সবাইকে আশ্বস্ত করার সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু আমাদের সরকার সেটা শোনেনি এবং বিচার ব্যবস্থার ওপরই বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছে।'

শেখ হাসিনার উপদেষ্টা জয় দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠার পেছনে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হাত ছিল।

তিনি বলেন, 'আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা এর পেছনে জড়িত ছিল। কারণ, ১৫ জুলাই থেকে অনেক আন্দোলনকারীর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। গত ১৫ বছরে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সফলতার কারণে বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া খুবই কঠিন। একমাত্র কোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাই বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার ও আন্দোলনকারীদের কাছে সরবরাহ করতে পারে।'

৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে তার মায়ের চলে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার ঘটনা বর্ণনা করে জয় বলেন, একদিন আগেও তিনি বা শেখ হাসিনা কেউই ভাবেননি যে পরিস্থিতি এত দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

জয় বলেন, 'মায়ের দেশ ছাড়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না। তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছিলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন এবং জনগণের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তায় এই ঘোষণা দেবেন। তিনি বিবৃতির খসড়া তৈরি করেছিলেন এবং সেটি রেকর্ড করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সবকিছু পরিকল্পিত ছিল। তিনি যখন রেকর্ডিং শুরু করতে যান, তখন বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বলেন, "ম্যাম, সময় নেই। আমাদের এখন যেতে হবে।"'

হাসিনা দেশ না ছাড়ার ব্যাপারে অনড় ছিলেন এবং তিনি তাকে রাজি করিয়েছেন দাবি করে জয় বলেন, 'বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী তাকে সামরিক বিমানঘাঁটির মধ্যে একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে একটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত ছিল। কিন্তু তিনি যেতে চাননি। তখনই আমার খালা (শেখ রেহানা) আমাকে ডাকলেন। আমি মাকে বোঝালাম যে তোমার নিরাপত্তার জন্য তোমাকে চলে যেতে হবে। যদি এই জনতা তোমাকে খুঁজে পায়, কোথাও ধরে ফেলে এবং সেখানে গুলি চলে, তাহলে অনেক মানুষ মারা যাবে। হয় তোমাকে এই হত্যার জন্য দায় দেবে কিংবা যদি তোমাকে ধরে ফেলে তাহলে মেরে ফেলবে। তাই সবচেয়ে ভালো হবে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া এবং আমিই তাকে চলে যেতে রাজি করিয়েছি।'

ভারতের প্রতি তার বার্তা কী হবে জানতে চাইলে জয় নয়াদিল্লিকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, 'আমি আশা করব, ভারত নিশ্চিত করবে যে ৯০ দিনের সাংবিধানিক সময়সীমার মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, অরাজকতা বন্ধ হবে এবং আওয়ামী লীগকে প্রচারণা ও পুনর্গঠনের অনুমতি দেওয়া হবে। যদি সেটা নিশ্চিত করা হয়, আমি এখনও নিশ্চিত যে আমরা নির্বাচনে জয়ী হবো। আমরা এখনও সবচেয়ে জনপ্রিয় দল।'

রাজনীতি
2.6k Shares
facebook sharing button Share
twitter sharing button Tweet
whatsapp sharing button Share
sharethis sharing button Share

১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন করুন: শেখ হাসিনা

আজ মঙ্গলবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই বক্তব্য প্রকাশ করেন। তবে শেখ হাসিনা কোথা থেকে এই বক্তব্য দিয়েছেন তা উল্লেখ করা হয়নি।
শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য প্রকাশ করেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যেখানে তিনি ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই বক্তব্য প্রকাশ করেন। তবে শেখ হাসিনা কোথা থেকে এই বক্তব্য দিয়েছেন তা উল্লেখ করা হয়নি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, 'গত জুলাই মাস থেকে আন্দোলনের নামে নাশকতা, অগ্নি সন্ত্রাস ও সহিংসতায় অনেকগুলো তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। ছাত্র, শিক্ষক, পুলিশ এমন কি অন্তঃসত্ত্বা নারী পুলিশ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক সেবী, কর্মজীবী মানুষ, আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী, পথচারী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত যারা সন্ত্রাসী আগ্রাসনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করছি এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।'

তিনি আরও বলেন, 'স্বজনহারানোর বেদনা নিয়ে আমার মতো যারা বেঁচে আছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই। আমি এই হত্যাকাণ্ড ও নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।'

'১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবনে যে নারকীয় হত্যার ঘটনা ঘটেছিল সেই স্মৃতি বহনকারী বাড়িটি আমরা দুই বোন বাংলার মানুষকে উৎসর্গ করেছিলাম। গড়ে তোলা হয়েছিল স্মৃতি জাদুঘর। দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দেশ বিদেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এই বাড়িতে এসেছেন। স্বাধীনতার স্মৃতিবহন করে এই জাদুঘরটি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে স্মৃতিটুকু বুকে ধারণ করে আপনজন হারাবার সকল ব্যথা বেদনা বুকে চেপে রেখে বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার লক্ষ্য নিয়ে প্রিয় দেশবাসী আপনাদের সেবা করে যাচ্ছি। তার শুভ ফল ও আপনারা পেতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। আজ তা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।'

বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, 'যে স্মৃতিটুকু আমাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন ছিল তা পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছে। চরম অবমাননা করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি, যার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা পেয়েছি, আত্মপরিচয় পেয়েছি, স্বাধীন দেশ পেয়েছি। লাখো শহীদের রক্তের প্রতি অবমাননা করেছে। আমি দেশবাসীর কাছে এর বিচার চাই। আপনাদের কাছে আবেদন জানাই যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে ভাব গম্ভীর পরিবেশে জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট পালন করুন। বঙ্গবন্ধু ভবনে পুষ্প মাল্য অর্পণ ও দোয়া মোনাজাত করে সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করুন।'

রাজনীতি
366 Shares
facebook sharing button Share
twitter sharing button Tweet
whatsapp sharing button Share
sharethis sharing button Share

শেখ হাসিনার বিচার দাবিতে বুধ-বৃহস্পতিবার বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য পুলিশি নিরাপত্তার আদেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিএনপি

ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যার অভিযোগে সাবেক  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

আজ মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বুধ ও বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া ১৬ আগস্ট শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে তার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে সারাদেশের দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। 

একইদিন ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করা হবে।

খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় পুলিশ

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য পুলিশি নিরাপত্তার আদেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তারের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

রাজনীতি
237 Shares
facebook sharing button Share
twitter sharing button Tweet
whatsapp sharing button Share
sharethis sharing button Share

আ. লীগ হিন্দুদের ওপর হামলা চালিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে: মির্জা ফখরুল

তিনি বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—এই ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর কেউই এখানে সংখ্যালঘু নয়।
মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ফটো

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ আবারও হিন্দুদের ওপর হামলা চালিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।

আজ মঙ্গলবার নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নেমে তিনি তার গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও যান।

পথসভায় মির্জা ফখরুল বলেন, 'ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আজকে যারা দায়িত্ব নিয়েছেন তারা নিরপেক্ষ। আবারও বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।'

'সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তারা (আওয়ামী লীগ) হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার মিথ্যা অভিযোগ তুলে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান-আমরা সবাই এই স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক,' বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, 'এখানে কোনো ধর্মীয় সংঘাত থাকবে না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—এই ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর কেউই এখানে সংখ্যালঘু নয়।'

দেশের কল্যাণে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে সব ধরনের প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে উঠে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, 'নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করবে এবং নির্বাচনের পথ সুগম করবে। সেই নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং যারা নির্বাচিত হবে তারাই সরকার গঠন করবে। তাই কেউ যেন জোর করে দখল করার চেষ্টা না করে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনাদের।'

রাজনীতি
138 Shares
facebook sharing button Share
twitter sharing button Tweet
whatsapp sharing button Share
sharethis sharing button Share
হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে জাতিসংঘকে বিএনপির চিঠি

সত্য তুলে ধরতে না পারলে আগামী দিনেও স্বৈরাচার সরকার আসবে: খসরু

‘একটি গণহত্যা হয়েছে, একটি সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায়। এ জন্য আন্তর্জাতিক মানের নিরপেক্ষ-স্বচ্ছ একটি তদন্তের প্রয়োজন আছে।’
হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে জাতিসংঘকে বিএনপির চিঠি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে শুরু হওয়া আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা জানিয়েছেন।

এর আগে বিএনপির প্রতিনিধি দল জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করে।

আমীর খসরু বলেন, 'একটি অবৈধ সরকারের অধীনে বাংলাদেশে যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের যে হত্যা করা হয়েছে, তার একটি নিরপেক্ষ, আন্তর্জাতিক মানের স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে সব ঘটনা উদঘাটন করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছি।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে যে হত্যাযজ্ঞ-খুন হয়েছে, সেটা উন্মোচন করার প্রয়োজন আছে। জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে হলে দেশের ভেতরে ও বাইরে যে ঘটনার মাধ্যমে এই হত্যাযজ্ঞ হয়েছে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায়, এটাকে জাতির সামনে ও বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে হবে। যাতে আগামী দিনে নিজের দেশের মানুষকে হত্যা করে জোর করে ক্ষমতায় থাকার আকাঙ্ক্ষা যাতে কারও না থাকে। আমরা জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য এ ধরনের একটি পরিচ্ছন্ন, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য তদন্তের কথা বলেছি।'

'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও অনুরোধ করেছি জাতিসংঘকে বলার জন্য এবং আমরা আশা করছি জাতির এই ক্রান্তি লগ্নে এ রকম একটি তদন্ত সবার আকাঙ্ক্ষা বলে আমরা মনে করি,' যোগ করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, 'একটি গণহত্যা হয়েছে, একটি সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায়। এ জন্য আন্তর্জাতিক মানের নিরপেক্ষ-স্বচ্ছ একটি তদন্তের প্রয়োজন আছে। এটার অর্থ এই নয় যে, দেশের আইনি ব্যবস্থা এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমাদের আইন বিভাগে আইন বলে তো কিছু ছিল না দেশে। সেটা এখন আমরা ক্রমান্বয়ে ফিরে পাচ্ছি।'

তিনি বলেন, 'দেশের অভ্যন্তরে যেটা হবে সেটা অন্য বিষয়। বাংলাদেশে যেটা ঘটেছে, এটা সারা বিশ্বের কাছে ঘৃণিত হয়েছে এবং সারা বিশ্ব এটার প্রতিবাদ করেছে। সে কারণে আমরা মনে করি, আন্তর্জাতিক মানের একটি স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। এই তদন্তের মাধ্যমে আমরা যদি সেটা তুলে ধরতে না পারি, তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যতে আগামী দিনেও এ রকম স্বৈরাচার, এ রকম ফ্যাসিস্ট সরকার আসবে। বাংলাদেশের জনগণকে গুম, খুন, হত্যা করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবে। আমরা চিরতরে এটার অবসান চাই।'

জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছেন বলে জানান এই বিএনপি নেতা।

বিএনপি বলছেন গণহত্যা হয়েছে, গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতও আছে, বিএনপির সেখানে যেতে কোনো বাধা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এই আইসিসির ব্যাপার না। আইসিসিতে যেতে হলে আলাদা অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে এবং আইসিসিতে যেতে কোনো বাধা নেই। আজকে আমরা চিঠি দিতে এসেছি। এর পরবর্তীতে আমরা কোথায় যাব সেটা জানানো হবে।'

একজন গণহত্যাকারী দেশে ফিরে এসে রাজনীতি করার অধিকার রাখে কি না জানতে চাইলে খসরু বলেন, 'ফিরে আসা-না আসা তাদের ব্যাপার। গণহত্যা নিয়ে তাদের যে বিচারের সম্মুখীন হবে সেটা নিয়ে কারও মনে কোনো সন্দেহ নেই।'

রাজনীতি
1.8k Shares
facebook sharing button Share
twitter sharing button Tweet
whatsapp sharing button Share
sharethis sharing button Share

অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির সময় দিয়েছি: মির্জা ফখরুল

তিনি আরও বলেন, আমরা এই সরকারের সব বিষয়গুলোতে সমর্থন দিচ্ছি।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সময় দেওয়া হয়েছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন।

আজ সোমবার বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেছেন।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারকে আগেই আমরা নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সময় দিয়েছি। আমরা তাদের সব বিষয়গুলোতে সমর্থন দিচ্ছি।'

তিনি বলেন, 'আমরা একটা কথা পরিষ্কার করে বলেছি যে বর্তমানে দেশে যে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং সাম্প্রদায়িক হামলার যে ধোঁয়া তোলা হচ্ছে, জনগণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রেখে যেন এই সরকারকে সহযোগিতা করে। সরকার তা করছে।'

মির্জা ফখরুল বলেন, 'আজকের বৈঠকে আমরা দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের মতামত জানিয়েছি।'

তিনি বলেন, 'যারা বাংলাদেশকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল তারাই এখন ভারতে অবস্থান করছে, আমাদের বিজয় ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।'

'এটা বাংলাদেশের বদনামের জন্য, এই সরকারকে বদনাম করার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে দুর্বল করার একটি প্রচেষ্টা,' বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'এত মানুষ হত্যার পরও এই দলটি (আওয়ামী লীগ) এখনো বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলছে। আমরা বিশ্বাস করি সরকারের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমরা বিশ্বাস করি এই সরকারের উচিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলা, কিন্তু খুনিদের সঙ্গে নয়।'

বিকেল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এতে অংশ নেন।

 

The Daily Star  | English

BB cuts special liquidity support for nine banks

The Bangladesh Bank reduced the special liquidity support extended to nine lenders, including five Shariah-based banks, despite the absence of a governor.

11h ago
রাজনীতি
216 Shares
facebook sharing button Share
twitter sharing button Tweet
whatsapp sharing button Share
sharethis sharing button Share

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক বিকেলে

বিকেল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
BNP logo

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বিএনপি নেতারা।

আজ সোমবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বিকেল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

শায়রুল আরও জানান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এতে অংশ নেবেন।