By using this site, you agree to our Privacy Policy.

বাংলাদেশ ও ভারতে বস্ত্র উৎপাদনে এপিক গ্রুপকে ঋণ দিচ্ছে আইএফসি

বাংলাদেশ ও ভারতে বস্ত্র উৎপাদনে এপিক গ্রুপকে ঋণ দিচ্ছে আইএফসি

বাংলাদেশ ও ভারতে আরও পরিবেশবান্ধব উপায়ে এবং দক্ষতার সঙ্গে বস্ত্র উৎপাদনে সহায়তা করতে এপিক গ্রুপকে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাতবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)।

এ লক্ষ্য অর্জনে এপ্রিক গ্রুপকে মোট ১০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএফসি। এর মধ্যে সাত কোটি ডলার দেওয়া হচ্ছে টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আর বাকি তিন কোটি ডলার দেওয়া হচ্ছে পরিবেশবান্ধব উৎপাদনে। এই ঋণ এপিক গ্রুপের বাংলাদেশে কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ভারতে নতুন কারখানা তৈরিতে ব্যবহার করা হবে।

আইএফসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ ছাড়া এপিক গ্রুপ বাংলাদেশে ওয়াশিং ও বর্জ্য পরিশোধন কার্যক্রম উন্নয়নে এ ঋণের অর্থ ব্যয় করবে। সেই সঙ্গে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বিনিয়োগ করে পানি ও জ্বালানির ব্যবহার হ্রাসে এ অর্থ কাজে লাগানো হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইএফসির এ ঋণসহায়তা বাংলাদেশ ও ভারতে যথাক্রমে ১০ হাজার ৫০০ প্রত্যক্ষ ও ১৭ হাজার পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার তিনটি লক্ষ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে, যেমন গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ও স্বাদুপানি ব্যবহার হ্রাস এবং প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক ও মধ্যম স্তরে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি।

এপিক গ্রুপের নির্বাহী চেয়ারম্যান রঞ্জন মাহতানি বলেছেন, ‘টেক্সটাইলশিল্পকে আরও টেকসই ও উদ্ভাবনী করতে এটি আইএফসির গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। আইএফসির এ সহায়তা যে কেবল বাংলাদেশ ও ভারতে এপিকের কার্যক্রম বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে, তা নয়; বরং পরিবেশদূষণ রোধে আমাদের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন ও সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আইএফসি ও এপিক গ্রুপের এই অংশীদারির মাধ্যমে পরিবেশদূষণ রোধে বড় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা আছে। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০৩০ সালের মধ্যে পোশাক কারখানাপ্রতি ৬৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা আছে এ উদ্যোগে। পৃথিবীতে যত কার্বন নিঃসরিত হয়, তার ৬ থেকে ৮ শতাংশ আসে টেক্সটাইল বা বস্ত্র খাত থেকে। এই দূষণের বড় একটি অংশের উৎস এশিয়া।

বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় একটি অংশ এই টেক্সটাইল খাত। দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশই আসে পোশাক ও বস্ত্র খাত থেকে। ভারতের ক্ষেত্রেও এই খাতের বড় ভূমিকা আছে—দেশটিতে কর্মসংস্থানের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত এটি। দেশটির উৎপাদন খাতে যত মানুষের কর্মসংস্থান হয়, তার ১৮ শতাংশই আসে এই খাত থেকে।

এদিকে ঋণসহায়তা ছাড়াও এপিক গ্রুপকে পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনাগত লক্ষ্য অর্জনে পরামর্শ দিচ্ছে আইএফসি।

আইএফসির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিকার্ডো পুলিতি বলেন, ‘এশিয়া অঞ্চলের বস্ত্র ও পোশাক খাতের সরবরাহশৃঙ্খলের উন্নয়নে আইএফসি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, টেক্সটাইল খাতকে আরও টেকসই ও প্রতিযোগিতামূলক করা। এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।’