By using this site, you agree to our Privacy Policy.

নিজের কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরালেন জাহাঙ্গীরনগরের আরেক শিক্ষক

অধ্যাপক জামালউদ্দিন
অধ্যাপক জামালউদ্দিন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জামালউদ্দিন এবার নিজ কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সরিয়ে ফেলেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে জুলাই মাসে হত্যাকাণ্ড এবং এর ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার শতাধিক ছাত্র-জনতাকে হত্যার প্রতিবাদে ছবি সরিয়ে ফেলেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

আজ সোমবার সকালে নিজ কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সরিয়ে ফেলেন অধ্যাপক জামালউদ্দিন। এ সময় তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে দমাতে যেসব উক্তি এবং কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন, তার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শপথ ভঙ্গ করেছেন। সুতরাং উনি আর আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী নন। উনি হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি; বিশেষ করে আওয়ামী গুন্ডাদের সভাপতি। উনি উনার পিতাকে পর্যন্ত অবমাননা করেছেন। সংগত কারণে আমার সভাপতির কক্ষে উনার ছবিটি বঙ্গবন্ধুর পাশে মানায় না। তাই উনার ছবি নামিয়ে রেখে আমি ছাত্রছাত্রীদের লংমার্চে অংশগ্রহণ করলাম।’

অধ্যাপক জামালউদ্দিন আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তাঁদের (শিক্ষার্থী) নিরাপত্তা দিতে পারছেন না বা দিতে চান না। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষক হিসেবে আমি আমার সন্তানতুল্য ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকব। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য চেষ্টা করব, তাঁদের সুশৃঙ্খল করার চেষ্টা করব। এই লক্ষ্য নিয়ে তাঁদের সঙ্গে ঢাকা মার্চে অংশগ্রহণ করলাম। এরই অংশ হিসেবে তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) ছবি নামিয়ে ফেলে আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। আমি সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানাব, আপনারা যে যেখান থেকে পারেন, তাঁদের সহযোগিতা করুন।’

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থীদের হত্যা, হামলা, নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে নিজ কার্যালয় থেকে তাঁর ছবি সরিয়ে ফেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা সুলতানা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে অধ্যাপক শামীমা সুলতানার কার্যালয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর পেটোয়া বাহিনী নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়েছে। হত্যা করা হয়েছে অবুঝ শিশু থেকে বয়স্কদের। নারী শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা লাঞ্ছিত হয়েছেন। এরপরও বারবার তিনি মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন। তাঁর নির্দেশেই নারকীয় হামলা, হত্যা, নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থী হত্যার মধ্য দিয়ে জাতিকে মেধাশূন্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীদের কার্যালয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস ও সব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।