ফ্রেন্ড-ফলোয়ার লিস্টে নতুন অনেক মানুষজন এড হয়েছেন। এনারা হয়তো জানবেন না, তাই এনাদের সুবিধার জন্য বলিঃ সাত বছর আগে বাংলা অনলাইনে বিশাল বড় একটা এক্সপোজ করেছিলাম - আমি।
এক্সপোজের বিষয় ছিলো - সুশান্ত পাল। বিসিএস সেলিব্রেটি হিসাবে অনেকেই - আজকের দিনেও এই শাউয়ার নাতিটিকে চেনে। তো, এই মরদে মুজাহিদ - সুশান্ত পাল, অনলাইনে মেয়েদের কাছে আজেবাজে সেক্সুয়াল ম্যাসেজ পাঠাতো। সেক্সি বুড়ি, সেক্স করেছো, ব্রায়ের সাইজ কতো, পিরিয়ড চলতেসে? একদিন বাসায় আসো - এই জাতীয় কথাবার্তা বলতো।
সেলিব্রেটিকে ট্যাকল দেয়া বিষয়টা সাত বছর আগে এতো সহজ ছিলোনা, আজকের দিনে যতোটা সহজ। তো, অনলাইনে সুশান্তের এই জাড়িজুড়ি ফাঁস করার সময় আমার ইনবক্স ফ্লাডেড হয়ে যায় - সুশান্তের নামে কমপ্লেইনে। সবকিছু এক সুতায় গেঁথে ওরে সাঁড়াশি দিয়ে আমি ধরতে পারি নাই। সব কমপ্লেইনের বেইজমেন্ট থাকেনা, আপনারা জানেন। ধরতে হইলে একেবারে ছাই দিয়ে ধরতে হয়।
তবে, একই সময় ও মারাত্মক একটা ভুল কাজ করে বসে। ওর একটা স্ট্যাটাসে দাবি করে বসে, ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে নাকি প্রচণ্ড র্যাগ দেয়া হয়, এবং র্যাগ দেয়ার সময় ছেলেদের - অন্য ছেলের স্পার্ম দেয়া চা খাইতে বাধ্য করা হয়। (ইউউউউ, গা গোলাইতেসে? পড়তে থাকেন। জিনিস আছে লেখায়। প্লিজ পড়েন।)
এই ভয়াবহ মিথ্যা কথাটার ফলাফল হয় মারাত্মক। ঢাকা ইউনিভার্সিটির পোলাপান সুশান্ত পালের বিরুদ্ধে প্রোটেস্টের ডাক দেয়। বিভিন্ন জায়গায় চিঠি পাঠানো হয়, সুশান্তের প্রোফাইল ভেসে যায় হেইট কমেন্টে। সেইটার উপরে চেরি অন দ্যা টপ, আমার এক্সপোজ, সুশান্ত - অনলাইনে মেয়েদের সেক্সুয়ালি হ্যারাস করে।
এইটার ফলাফল হইসিলো কল্পনাতীত।
সরকারি চাকরি - পাওয়া যেমন কঠিন, যাওয়ায় তেমন কঠিন। তবে সিরিয়াসলি, সুশান্ত পালের চাকরি চলে যাওয়ার উপক্রম হইসিলো। অনলাইনে বালছাল লেখার জন্য, আর মেয়েদের সাথে বালছাল করার জন্য - ডিজিটাল আইনে গ্রেফতারের মামলা খাওয়া থেকে বাঁচতে সুশান্ত দিনের পর দিন, সচিবালয়ের উপর মহলে ধর্ণা দিয়েছে। নিউজপেপারের আর্টিকেল হয়েছে এই বিষয়ে, কমেন্ট সেকশনে লিংক থাকবে।
কাউকে এক্সপোজ করতে হইলে এইসব "কফি খাবেন" জাতীয় সিলি এক্সপোজে চলবে না। সাঁড়াশি দিয়ে ধরতে হবে। এমনভাবে ধরতে হবে যাতে, খানকির পোলা পালাইতে না পারে। তোজি ইসলাম যেইরকম নাফি বা লিখনরে ধরসিলো, টিভি ক্যামেরা নিয়ে। ধরতে হইলে ওইভাবে, অথবা ধরবেনই না।
আমাদের ওই এক্সপোজের পরে সুশান্ত পাল - দ্বারে দ্বারে ঘুরে, চাকরিটা বাঁচাইতে পারসে। কিন্তু, ওএসডি খায়া বান্দরবান না খাগড়াছড়ি - কোন জায়গায় জানি পোস্টিং হইসে, জানিনা। আপাতত ওনার কোনো কাজ নাই। একদিন ফোন করছিলাম এইটা জানতেঃ দাদা, সত্যিই কাজটা করছিলেন না? উনি ওনার ব্যস্ততার অজুহাত দেখায়া ফোনটা রেখে, আমাকে ব্লক করে দিছেন।
কাম অন, সুশান্ত'দা। আমাকে ফোন দেন সাহস থাকলে। আসেন কথা বলি, আলাপ করি। আপনি ক্লিয়ারলি জানেন যে - আপনি মেয়েদের অনলাইনে সেক্সুয়াল কথা বলে হ্যারাস করসেন। জানেন না?
তাইলে এইরকম এক্সপোজ - আরও একটা করি? করবো? আপনারা অনুমতি দেন। হিয়ার কামস দ্যা নেক্সট বিগ এক্সপোজ অফ - বাংলা অনলাইন।
পুলিশ। বাংলা পুলিশ। আমি জানতে চাই, সুন্দরী মেয়ে যারা আছেন বাংলা অনলাইনে, তারা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করা কোনো সদস্যের কাছ থেকে কি - কক্সবাজারে যাওয়ার প্রস্তাব পাইছেন? কফিশপে আসার প্রস্তাব পাইসেন? হোটেলে যাওয়ার প্রস্তাব পাইসেন?
আমার ইনবক্সে তো এইসব কমপ্লেইন - শতশত। আপনারা কেন এইসব কমপ্লেইন সামনে আনতেসেন না? তাইলে কি ছোট্ট আরেকটা স্টোরি বলতে হবে? বলি তাইলে।
ভদ্রলোক - বাংলাদেশের পুলিশ লাইনের সবচেয়ে বড় সেলিব্রেটি।
এমনিতে খুবই ভালো মানুষ উনি, জবর বইপত্র পড়েন, জ্ঞানী মানুষ। কোনো সমস্যা নাই। আমিও ওনাকে শ্রদ্ধা করি। তো, ওনার প্রথম বিয়া হইসিলো এক বাংলাদেশি মেয়ের সাথে। মেয়ের বাপ - পুলিশের অনেক বড় লেভেলের অফিসার।
সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় - ওনার আলুর দোষ। বিবাহিত সম্পর্কে থাকা অবস্থায়, ভদ্রলোক, নিজের অফিসে এক মেয়েকে নিয়ে এসে ঘাপাঘাপ লাগাচ্ছিলেন। কপাল খারাপ, অফিসের অন্য এক পুলিশ - এই খবরটা ভাবীকে জানায় দেন। ভাবী অফিসে আসেন, এবং হাতেনাতে পুলিশ ভদ্রলোক এবং তার "লাগাইন্যা" প্রেমিকাকে ধরে ফেলেন।
এর ফলশ্রুতিতে, বিয়েটা ভেঙে যায়। সেলিব্রেটি পুলিশ ভদ্রলোক চোদা দিতে গিয়ে, চোদা খেয়ে যান - এবং তার সর্বনাশ হয়ে যায়। খেয়াল রাখতে হবে, সুশান্ত পাল এবং এই পুলিশ ভদ্রলোকটি কিন্তু বন্ধু মানুষ। খবরদার, কমেন্টে কেউ এনাদের নাম উল্লেখ করবেন না। পোলাপান জানে, এরা কারা।
এরপর থেকে, নুনুর এবং আলুর দোষে আক্রান্ত - এই বিসিএস ক্যাডার ভাই-ব্রাদার দুইজন, ঠাপের উপরে আছেন। তাদের পোস্টিং দেয়া হচ্ছে বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি। তাদের পুলিশ লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান বানায় রাখা হচ্ছে, বান্দরবান খাগড়াছড়ি পোস্টিং দেয়া হচ্ছে - কিন্তু পুলিশিংটা করতে দেয়া হচ্ছেনা।
তো, পুলিশ ভাই ফ্রাস্টেটেড হয়ে চাকরির ছুটি নিয়ে বিদেশে যান। একবার এই ইউনিভার্সিটি, একবার ওই ইউনিভার্সিটি। এরপর, এক ইউরোপিয়ান নাগরিক মহিলাকে বিয়ে করেন। দেশে যে ক্যারিয়ারে কিছুই হবে না, সুশান্ত পাল এবং তার বন্ধু যে প্রমোশন পাবেনা, এইটা তো আমরা দেখতেসি - নাকি বলেন?
গত দশ বছরে এনারা প্রমোশন পাইসেন? পান নাই, না?

আমি সার্বিকভাবে কনফার্ম হইসিঃ
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন সদস্য - অনলাইনে মেয়েদের ডিস্টার্ব করতেসেন।
কফি খাবেন? কক্সবাজার যাবেন? আসেন না একদিন বাসায় - মানে, কী চলতেসে এইগুলা, পুলিশ ভায়েরা? আপনাদের সবগুলারে ধইরা যদি একসাথে এক্সপোজ করি তাইলে কি বিষয়টা খুব ভালো হবে?
আপনারা পুলিশ। মেয়েরা চান্স পাইলেও "পুলিশ" জন্য ভয়ে মুখ খুলতেসে না, পাছে আপনারা আইনী সমস্যার জালে ফাঁসায় দেন, ডিজিটাল আইনে - এইজন্য।
আমি এই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে - বাংলাদেশের সকল নারী, যাদের কোনো পুলিশ, কোনো হেল্প করার বিনিময়ে কোনো স্পেশাল নিড চাইসে, ইনবক্সে বালছাল পাঠাইসে, কোনো খারাপ প্রস্তাব দিসে - আপনাদের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতেসি।
ফ্যাক্ট হইতেসে, বাংলাদেশ পুলিশ, আমাদের মেয়েদের ইনবক্সে লুইচ্চামি করে। ডান এন্ড ডাস্টেড।
প্রুভ করেন। প্লিজ আমার ইনবক্সে আসেন, আমাকে ম্যাসেজ দেন। আসেন, এদের মুখোশটা আমরা সবাই মিলে খুলি
