ঢাকা২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৪ জুন ২০২৪

দেবদেবীর অভিশাপে অভিশপ্ত, তাই লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয়েছে: ড. ইউনূস

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ১০:২১ পিএম
Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
sharethis sharing button
দেবদেবীর অভিশাপে অভিশপ্ত, তাই লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয়েছে: ড. ইউনূস
ছবি : খবরের কাগজ

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘দেবদেবীর অভিশাপে আমি অভিশপ্ত। অভিশপ্ত জীবনটা বড় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তাই আমাকে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয়েছে। অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয়।’

রবিবার (২ জুন) আদালত থেকে বের হওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন তিনি। 

এদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের চার্জগঠনের বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত আগামী ১২ জুন আদেশের জন্য দিন ধার্য রাখেন।

শুনানির শুরুতে আদালতের এজলাসকক্ষে আসামিদের জন্য তৈরি করা লোহার খাঁচায় (আসামির কাঠগড়া) দাঁড়ান তিনি। খাঁচায় দাঁড়ানোর এই অভিজ্ঞতাকে ‘অভিশপ্ত জীবনের অংশ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ড. ইউনূস।

তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, শুনানির শুরুতে আদালত ড. ইউনূস ছাড়া বাকি আসামিদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে বলেন। তখন ড. ইউনূস বলেন, ‘তার জন্য অন্যদের এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাই তিনি নিজেও লোহার খাঁচায় তৈরি আসামির কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়ান। মিনিট দুয়েক পর সবাই বিচারকের অনুমতি নিয়ে এজলাসকক্ষের বেঞ্চে গিয়ে বসেন।’

আদালত থেকে বের হওয়ার পর ড. ইউনূস গণমাধ্যমকে বলেন, লোহার খাঁচার তৈরি আসামির কাঠগড়া তো অপমানজনক। অপমান করার জন্য এটি করা হয়েছে। এটা তো আর সম্মান দেওয়ার জন্য বানানো হয়নি। অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বানানো হয়েছে। আজ আমি অভিশপ্ত জীবনের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছেছি। এই প্রথম আমাকে লোহার খাঁচায় দাঁড়াতে হলো।

আদালতে আনা অভিযোগ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘এ ঘটনার মধ্যে কোনো সত্যতা নেই। যে জিনিস আমি দিয়ে দিয়েছিলাম, সেটার জন্য আমাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। আমার সঙ্গীরা আজ অভিশপ্ত। এটা আমার মনে কঠিনভাবে দাগ কেটেছে। আমার পরিবারকে আক্রমণ করেছে। আমার বাবাকে আক্রমণ করেছে। এটা আমার কাছে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এটা আমার অভিশপ্ত জীবনের অংশ।’

তিনি বলেন, ‘এটা আমার জীবনের একটা স্মরণীয় ঘটনা যে লোহার খাঁচার মধ্যে দাঁড়িয়েছিলাম আদালতের কাঠগড়ায়। এটা অভিশপ্ত জীবনের একটা অংশ। আমরা নোবেল পুরস্কারের কথা সবাই জানি। দুইটা নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। একটা ছিল আমার নামে, আরেকটা গ্রামীণ ব্যাংকের নামে। দুইটারই সমান গুরুত্ব ও মর্যাদা। কোনোটার চেয়ে কোনোটা কম নয়। এটা যৌথভাবে দেওয়া হয়েছে, তাও না। দুইটাই স্বাধীনভাবে দেওয়া হয়েছে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো নজির নাই, একজন নোবেল বিজয়ী আরেকজন নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে মামলা করতে দুদকে হাজির হয়েছে। এটা আমাদের কপালে হলো। এটা অভিশাপের একটা অংশ। যে অভিশাপ আমরা গ্রহণ করে যাচ্ছি। সে অভিশাপ এমনভাবে হয়েছে, একটা নোবেল বিজয়ী এবং এ নোবেল বিজয়ী হলো খুবই সম্পৃক্ত নোবেল বিজয়ী। অনেকটা পিতা-পুত্রের সম্পর্কের মতো নোবেল বিজয়ী। যে আমার কারণে এটা সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। সেটাও আমার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পেয়েছে। এটারই একটা অংশ। যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে দুজনের মধ্যে একজন। এটা আমার বিরুদ্ধে এমনভাবে নিয়ে আসলো খুব কঠিন ভাষায়, রূঢ় ভাষায় আক্রমণ করে।’ 

তিনি বলেন, ‘অভিযোগ থাকতে পারে কিন্তু রূঢ় ভাষায় আক্রমণ করে অভিযোগগুলো করে। যে অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। এ ব্যাপারে আপনাদের জানিয়েছি, ঘটনা কী ঘটেছিল। এ ঘটনার মধ্যে কোনো সত্যতা তো নেই। যে জিনিস দিয়ে দিয়েছিলাম, সেটার জন্য আমাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, টাকা মেরে দিয়েছি ইত্যাদি ইত্যাদি। এ পর্যন্ত যত অভিযোগ এসেছে আমার ও সহকর্মীদের বিরুদ্ধে, তারা অভিশাপের একটা অংশ। এটা আমার কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। যে আমার বাবাকে আক্রমণ করেছে, ভাই-বোনদের আক্রমণ করেছে। এই যে সেটা অভিশপ্ত জীবনের একটা অংশ বলে গেলাম।’

নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেন, ‘এ সময় কেন তাদের অভিশপ্ত জীবন বহন করতে হচ্ছে সেটা আপনারা জানুন এবং লিখুন। শুধু জানা নয়, কিছু লিখুন। সত্যতা, গুরুত্বটা, ভূমিকাটা কী? রিপোর্টিং বলতে শুধু শুনলাম, লিখলাম এটা না। এর একটা ব্যাখ্যাও আছে। গভীরে যাওয়া, সবাইকে জানান দেওয়া সেটাও একটা অংশ।’

Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
whatsapp sharing button
sharethis sharing button
Quiz Comunitybank Details

কোরবানির চামড়ার দাম ১২০০ টাকা

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
sharethis sharing button
কোরবানির চামড়ার দাম ১২০০ টাকা
চামড়া

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) সচিবালয়ে কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে চামড়ার নতুন মূল্য ঘোষণা করা হয়। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর উপস্থিতিতে নতুন মূল্য ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন।

তিনি জানান, গতবারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুট চামড়ার মূল্য পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার ঢাকায় প্রতি পিস গরুর চামড়ার (লবণযুক্ত) সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার টাকা।

তিনি আরও জানান, এবার ঢাকার মধ্যে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫৫-৬০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুটের মূল্য ৫০-৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। খাসির চামড়ার মূল্য (লবণযুক্ত) প্রতি বর্গফুট ২০-২৫ এবং বকরির চামড়ার প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত বছর ঢাকার মধ্যে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫০-৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪৫-৪৮ টাকা। আর খাসির চামড়ার মূল‍্য প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়ার মূল‍্য ১২-১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

এ সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ বছর কোরবানিতে আমাদের ১ কোটি ৭ লাখ পশুর চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ আছে ১ কোটি ২৯ লাখ পশু। এর মধ্যে ৫৫ লাখ গরু মহিষ এবং বাকিগুলো উট, ছাগল, ভেড়াসহ অন্যান্য প্রাণী রয়েছে। এ বছর আমরা শতভাগ চামড়া সংরক্ষণের চেষ্টা করব।’

গত কয়েক বছর ধরে সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া বেচাকেনা হচ্ছে না। সিন্ডিকেটের কারণে পানির দরে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এবারও সেই সিন্ডিকেটের ইচ্ছাতেই চামড়া বাজার চলবে কি না, সে বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি প্রতিমন্ত্রী।

Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
whatsapp sharing button
sharethis sharing button

২৫ অ্যাজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ১১:৩৮ এএম
Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
sharethis sharing button
২৫ অ্যাজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২৫টি রিক্রুটিং অ্যাজেন্সির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক মো. আবু সাঈদ এ অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ইতোমধ্যে অভিযোগসংশ্লিষ্ট অ্যাজেন্সিগুলোর কর্মী পাঠানোর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন। সরকারি নির্ধারিত খরচের বাইরে বিদেশগামী কর্মীদের কাছে কত টাকা করে আদায় করা হয়েছে সেসব তথ্য-উপাত্ত খতিয়ে দেখছেন। অ্যাজেন্সি মালিকদের অনেককেই দুদকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। বাকিদেরও শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।

দুদক কর্মকর্তারা খবরের কাগজকে জানিয়েছেন, ২০২২ সালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এক অফিস আদেশে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ব্যয় নির্ধারণ করে। সে অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় যেতে প্রতিজন কর্মীর সর্বোচ্চ ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। অথচ প্রতিজন কর্মীর কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা আদায় করেছে তালিকাভুক্ত ২৫টি অ্যাজেন্সি। এ প্রক্রিয়ায় গত দুই বছরে ৪ লাখ কর্মীর কাছ থেকে অতিরিক্ত অন্তত ১২ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুদকে অনেক অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগগুলোর ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। 

অভিযোগসংশ্লিষ্ট অ্যাজেন্সিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আদিব এয়ার ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস (আরএল ১০২৪), আহমেদ ইন্টারন্যাশনাল (১১৪৬), আকাশ ভ্রমণ (০৩৮৪), আল-রাবেতা ইন্টারন্যাশনাল (০৩৫৪), আল-বুখারী ইন্টারন্যাশনাল (০৩০১), আমিয়াল ইন্টারন্যাশনাল (১৩২৬), বিনিময় ইন্টারন্যাশনাল (০৩৫১), বিএম ট্রাভেলস (১৪২১), ব্রাদার্স ইন্টারন্যাশনাল (৫৪৯), ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল (৫৪৯), গ্রীনল্যান্ড ওভারসিজ (০০৪০), ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেড (১৮৭৪), নিউ এজ ইন্টারন্যাশনাল (০৭০৩), ঐচি ইন্টারন্যাশনাল (১১৪১), অরবিটাল ইন্টারন্যাশনাল (০১১৩), পাথ ফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল (১২৯৮), সরকার ইন্টারন্যাশনাল (১৭১৫), শাহিন ট্রাভেলস (২১৪), স্নিগদা ওভারসিস লিমিটেড (১৫৫১), এসওএস ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস লিমিটেড (১৫৩০), সাউথপয়েন্ট ওভারসিস লিমিটেড (০৬২২), ইউনাইটেড ম্যানপাওয়ার কনসালটেন্সি (১২১৬), জাহরত অ্যাসোসিয়েট (২০৮৫), এম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (১৩২৭) এবং আভিং ইন্টারন্যাশনাল (০২১৫)। 

Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
whatsapp sharing button
sharethis sharing button

কোরবানির পশু গন্তব্যে পৌঁছাতে নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ১১:৩০ এএম
Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
sharethis sharing button
কোরবানির পশু গন্তব্যে পৌঁছাতে নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

সোমবার (৩ মে) সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সড়ক, রেলপথ ও নৌপথের নিরাপত্তা এবং জনগণের নিরাপদ যাতায়াত ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বের সময় আইজিপি এ নির্দেশ দেন। 

ঈদকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা, গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, কোরবানির পশু পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত বিষয়াদি সভায় উপস্থাপন করা হয়। সভা থেকে আইজিপি ঈদে ঘরমুখী মানুষের গমনাগমন স্বস্তিদায়ক করার জন্য হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশকে নির্দেশ দেন। 

আইজিপি বলেন, ‘ঈদ সামনে রেখে মহাসড়ক ও সড়কে ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ির চলাচল বন্ধ থাকবে।’ সড়ক অথবা নৌপথে কোরবানির পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে পশুবাহী গাড়ির সামনে গন্তব্য স্থান উল্লেখ করে ব্যানার লাগানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

আইজিপি কোরবানির পশু পরিবহনে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে নিকটস্থ থানা অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করার জন্য অনুরোধ করেন। পশু বেপারিদের অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির অপতৎপরতা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। দুর্ঘটনা এড়াতে পণ্যবাহী গাড়িতে বা ট্রাকে ভ্রমণ না করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান আইজিপি।

গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঈদ জমায়েতের পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আইজিপি বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকে বিনোদনকেন্দ্রে বেড়াতে যাবেন, সেখানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।

সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজিপি এবং ঢাকায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানরাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলার পুলিশ সুপাররা অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।

Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
whatsapp sharing button
sharethis sharing button

মালয়েশিয়া যেতে পারেননি ১৭ হাজার কর্মী: প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ১০:১০ এএম
Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
sharethis sharing button
মালয়েশিয়া যেতে পারেননি ১৭ হাজার কর্মী: প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ

সব প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত ছাড়পত্র নিয়েও মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি ১৭ হাজার কর্মী। আর এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৩ জুন) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি একে ‘দেশের জন্য বড় ক্ষতি’ উল্লেখ করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের কারণে এই বিপুল সংখ্যক কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাদের সবাইকে শাস্তি পেতেই হবে। আমি এ ঘটনায় দায়ীদের কাউকেই ছাড়ব না।’ 

মন্ত্রিসভার একাধিক সূত্র খবরের কাগজের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার সকালে মন্ত্রিসভার নিয়মিত এ বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিসভার এক সদস্য খবরের কাগজকে জানিয়েছেন, বৈঠকে দেশের নদনদীর ড্রেজিংয়ের বিষয় নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। 

তিনি কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, যেভাবে ড্রেজিং করা হচ্ছে, তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। মাটি, বালু ও পলি তোলার পর আবার তা নদীতে চলে যাচ্ছে। তাই নৌ-পরিবহন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজটি করতে হবে। 

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উত্থাপিত ‘ড্রেজিং ও ড্রেজ ম্যাটারিয়াল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৪’ নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

এদিকে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, দেশের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি এক ঘণ্টা বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। বর্তমানে অফিস সময়সূচি ৯টা থেকে ৪টা পর্যন্ত। ঈদুল আজহার ছুটির পর এই সময়সূচি বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৯টা-৫টা। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০২২ সালে সময়সূচি পরিবর্তন করে বিকেল ৫টার পরিবর্তে ৪টা করা হয়েছিল। এখন আগের অবস্থায় নেওয়া হলো।

এ ছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ প্রকল্পের কারণে শাহবাগ থানাকে সাকুরা বারের পেছনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

মন্ত্রিসভা সূত্র জানিয়েছে, ১৭ হাজার কর্মীর মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই আলোচনা শুরু করেন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক এই অর্থনৈতিক সংকটের সময় এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এতে দেশের বড় ক্ষতি হয়েছে। এটা প্রতারণা, অবহেলা না কি অদক্ষতা কিংবা অন্য কোনো কারণে হয়েছে, তা বের করতে হবে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। তিনি আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীকে নির্দেশ দেন। 

শেখ হাসিনা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, যারা মালয়েশিয়া যেতে পারলেন না তাদের এখন কী হবে? 

তিনি বলেন, ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তি পেতেই হবে। এদের কাউকেই তিনি ছাড়বেন না বলেও হুঁশিয়ার করেন। 

এ সময় প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী ১৭ হাজার কর্মীর মালয়েশিয়া যেতে না পারার প্রাথমিক কারণগুলো জানালে তা শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরক্তি প্রকাশ করেন। 

জাতীয় জীবনিরাপত্তা নীতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন: 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন জানান, জাতীয় জীবনিরাপত্তা নীতি ২০২৪-এর খসড়া মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। 

এ আইনের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এখন অনেক রিসার্চ হচ্ছে। রিসার্চ যেন নিরাপদ হয়, যাতে রেগুলেট করতে পারি সে জন্য এটি করা হয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের এ আইন সম্পর্কে মাহবুব হোসেন আরও বলেন, কোনো একটি ভ্যারাইটি সরাসরি বাজারে আসতে পারবে না। সরকারের অনুমোদন লাগবে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কি না তা আগে ভেরিফাই করা হবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় এটি করবে। 

ভিসা ছাড়াই মঙ্গোলিয়া যেতে পারবেন অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরা: 
ডিপ্লোম্যাটিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই মঙ্গোলিয়া যেতে পারবেন। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়া সরকারের মধ্যে মিউচ্যুয়াল এক্সেম্পশন অব ভিসা রিকয়্যারমেন্টস চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। 

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমানে ২৯টি দেশের সঙ্গে এরকম চুক্তি রয়েছে। এটি কার্যকর হলে দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৩০। ডিপ্লোম্যাটিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া পরস্পরের দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। 

এ ছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে বন শিল্প উন্নয়ন আইনের খসড়া এবং নেদারল্যান্ডস ও মরিশাসের সঙ্গে দ্বৈত কর আরোপ পরিহার এবং রাজস্ব ফাঁকি রোধে চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
whatsapp sharing button
sharethis sharing button

খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১০.৭৬ শতাংশ

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ০৯:৪১ এএম
Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
sharethis sharing button
খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১০.৭৬ শতাংশ
ছবি: সংগৃহীত

দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার আরও বেড়েছে। সদ্যবিদায়ী মে মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ হয়েছে, যা আগের মাস এপ্রিলে ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। গতকাল সোমবার (৩ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া মে মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, যা ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার আরও বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। 

বিবিএস জানায়, মে মাসে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। খাদ্যপণ্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিবিএসের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে এক বছরের ব্যবধানে ১০০ টাকার খাদ্যপণ্যে দাম বেড়েছে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা।

বিবিএসের তথ্যে দেখা গেছে, এপ্রিল থেকে বাড়তে বাড়তে মে মাসে খাদ্যপণ্য বৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। 

এ ছাড়া বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি পণ্য, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম কিছুটা কমেছে। মে মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ হয়েছে, যা এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
whatsapp sharing button
sharethis sharing button