সম্পূর্ণ নিউজ সময়
১৭ টা ৩৭ মিনিট, ৪ মে ২০২৪

ফ্রিজে ৪ শিশুর মরদেহ, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নেয়া হলো না ব্যবস্থা!

যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে ফ্রিজের ভেতর থেকে চারটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার হওয়ার দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এ নিয়ে এখনও কোনো মামলা হয়নি। চলতি সপ্তাহে একজন মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি এ তথ্য জানান।

২০২২ সালের নভেম্বরে সাউথ বোস্টনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে চারটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
২০২২ সালের নভেম্বরে সাউথ বোস্টনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে চারটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২ মিনিটে পড়ুন

সংবাদমাধ্যম এনবিসির বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাফোক ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি কেভিন হেইডেন ২০২২ সালের নভেম্বরে ফ্রিজের মধ্যে চারটি শিশু পাওয়ার ঘটনাকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জটিল, অস্বাভাবিক এবং বিভ্রান্তিকর বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

 
তিনি জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৬৯ বছর বয়সী নারী অ্যালেক্সিস আলদামিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কারণে মামলা করা সম্ভব হবে না।
 
দীর্ঘ তদন্তে এটা জানা সম্ভব হয়নি ওই শিশুরা জীবিত জন্মগ্রহণ করেছিল কিনা। তাদের বাবা-মাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তবে বাবার মৃত্যু হলেও মা বেঁচে আছেন। তার বয়স এখন ৬৯ বছর। ফলে স্মৃতিশক্তির দুর্বলতার কারণে তিনি এখন বিচারের মুখোমুখি হতে চান না।
 
এক বিবৃতিতে হেইডেন বলেন,

এই তদন্ত ছিল আমাদের মুখোমুখি হওয়া সবচেয়ে জটিল, অস্বাভাবিক এবং বিভ্রান্তিকরগুলোর মধ্যে একটি। যদিও আমাদের কাছে কিছু উত্তর আছে, তবে এমন অনেক ব্যাপার রয়েছে যার উত্তর সম্ভবত কখনই দেয়া হবে না।

 

 
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আলেক্সিস অ্যালদামিরের অ্যাপার্টমেন্টে পাওয়া চারটি শিশুর জন্ম কোথায় বা কখন হয়েছিল তা আমরা কখনোই জানতে পারব না। আমরা কখনোই জানতে পারব না যে চারটি শিশু জীবিত জন্মেছিল কিনা এবং আমরা কখনোই জানতে পারব না যে, তাদের কী হয়েছিল। আমরা কখনোই জানতে পারব না কীভাবে অ্যালেক্সিস আলদামির তার গর্ভাবস্থা লুকিয়ে রেখেছিল। কারণ তিনি পুরো তদন্তজুড়েই জিজ্ঞাসবাসের সময় শিশুদের জন্ম নিয়ে উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন।
 
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের নভেম্বরে সাউথ বোস্টনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে চারটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই অ্যাপার্টমেন্ট পরিষ্কার করার সময় এক নারী শিশুগুলোকে দেখতে পান। পরে তার স্বামী পুলিশকে খবর দেয়। শিশুগুলোর মধ্যে দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে ছিল। তাদেরকে একটি জুতার বাক্সে ফয়েল পেপারে পেঁচিয়ে রাখা হয়। পরে ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা যায়, শিশুগুলো ভাই-বোন। তবে তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
 
 
ডিএনএ পরীক্ষায় শিশুর সম্ভাব্য বাবা শনাক্ত করা গেছে। বলা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি ২০১১ সালে মারা গেছেন। তদন্তকারীরা বলছেন, ওই ব্যক্তির মোট পাঁচটি শিশু ছিল। যার মধ্যে একজনকে দত্তক দেয়া হয়েছিল এবং ওই শিশুর জন্ম রেকর্ডও পাওয়া গেছে।

আরও সময় সংবাদ